আজকের শিরোনাম :

আদমদীঘিতে টার্কি মুরগী পালনে সফলতা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৩৫

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালসন গ্রামের যুবক এনামুল হক টার্কি মুরগী পালনে ব্যাপক সফলতার মুখ দেখছেন অন্যান্য কাজের ফাঁকে সে টার্কি মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে বাড়িতে ছোট একটি খামার দিয়ে সফলতা পেয়েছেন। 

জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালসন গ্রামের শাহ পাড়ার ইউপি সদস্য  এনামুল হক তার বাড়ির পাশে ৩ শতক জায়গার ওপর একটি পোল্ট্রি খামার গড়ে তোলেন। পোল্ট্রি খামার ব্যবসায় তার ব্যাপক লোকসানের ফলে সে সিদ্ধান্ত নেয় টার্কি মুরগীর খামার করার। প্রথমে ৬ হাজার টাকায় ৪০টি টার্কি মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে বাড়িতে গড়ে তুলেছেন টার্কি মুরগীর খামার। ৪০টি টার্কির মধ্যে থেকে সে ২০টি মুরগি বাজারে ২০ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। তার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন টার্কি মুরগী, ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন করে সে অনেক বড় খামার গড়ে তুলতে চান।

প্রতিটি টার্কি মুরগী দানাদার খাদ্য ছাড়াও কলমি শাক, বাঁধাকপি ও সবজি জাতীয় খাবার খায়। ৪ মাস পর থেকে মুরগী গুলো খাওয়ার উপযোগী হয়। একটি টার্কি মুরগীর ওজন ২৫ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। প্রতি কেজি টার্কি মুরগীর মাংস বিক্রি হয় ৬’শ থেকে ৭’শ টাকায়। খেতে বেশ সুস্বাদু। এর মাংসে অধিক পরিমাণে প্রোটিন ও কম পরিমাণ চর্বি রয়েছে। এই মুরগীর রোগ বালাই নেই বললেই চলে। সে আরো বলেন, টেলিভিশন ও পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন সময় টার্কি মুরগীর ওপর প্রতিবেদন দেখে আমার টার্কি পালনের প্রতি উৎসাহ বেড়ে যায়। 

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়া ও পরিবেশে পশু-পাখি পালন করা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক সহজ। রোগবালাই ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এটি পালন করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়

এবিএন/আনোয়ার হোসাইন/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ