আজকের শিরোনাম :

চরভদ্রাসনে জনজোয়ারে পন্ড হলো ১৪৪ ধারা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৩০

জনজোয়ারে ভেসে গেল ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের হাজিডাঙ্গী গ্রামে জারি করা ১৪৪ ধারা।  বিকেল ৩ টায় পূর্ব নির্ধারিত জনসভা স্থলের উদ্দেশ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করে জনতা ও সমর্থকরা। সকাল থেকেই পুলিশ সেখানে অবস্থান নিলেও পুলিশের বাধা অতিক্রম করেই জনতা ঢুকে পড়ে সভাস্থলে।

কিছুক্ষণ পরে সেখানে হাজির হন সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। সেখানে তিনি কিছু সময় অবস্থান নিয়ে ১৪৪ ধারার প্রতি সম্মান জানিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। পরে চরভদ্রাসন সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত অস্থায়ী মঞ্চে দাড়িয়ে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন তিনি।

এ সময় সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিুজল হক মাস্টার, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহসানুল হক মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মোল্যা, যুবলীগের সভাপতি মোরাদ হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক জনতা ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

জনসভায় নিক্সন চৌধুরী বলেন, ষড়যন্ত্র করে ফরিদপুর-৪ আসনে উন্নয়ন কাজসহ অন্যান্য কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যখনও কোনো কর্মসূচি ঘোষনা করা হয় তখনই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কাজী জাফরউল্লাহ ষড়যন্ত্র করে তা বানচাল করছেন। আর এতে করে বঞ্ছিত হচ্ছে অত্র অঞ্চলের জনগন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আর এমন হলে জনগন দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
 
জনসভায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিলসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সামনের দিনগুলোতে তার সাথে থাকার অঙ্গিকার করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাওসার বলেন, যে স্কুলের মাঠে সাংসদের সভা আয়োজন করা হয়েছে সেটি আমার বাড়ির মধ্যে অবস্থিত।ইহা আমাদের বাড়িরই অংশ। আমার বাড়ির উপরে যদি তিনি মিটিং না ডাকতেন তাহলে কোন সমস্যা ছিল না।  উনি এমপি হিসেবে আমার এলাকায়, আমার বাড়িতে আসতেই পারেন কিন্তু আমার বাড়িতে কেন জনসভা করবেন?

প্রসঙ্গত, ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার হাজীডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পূর্ব নির্ধারিত ও সংসদ সদস্যের সফরসূচি অনুযায়ী জনসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একই সময়ে পাশাপাশি স্থানে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াস সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাউসার।

এ ঘটনায় এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকার সভাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করেন উপজেলা প্রশাসন।

এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ