আজকের শিরোনাম :

রাজারহাটে ভাঙন আতংকে তিস্তাপাড়ের মানুষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:২৪

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রাক্ষুসি তিস্তা নদীর ভাঙন আতংকে দিশাহারা হয়ে পড়েছে ৩টি ইউনিয়নের মানুষজন।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তা নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িসহ শতাধিক হেক্টর ফসলী জমি। ফলে তিস্তা নদীর পাড়ে আরও সহ¯্রাধিক মানুষ ঘরবাড়ি বিলীনের আতংকে দিনাতিপাত করছে।

উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের মন্দির ও পাড়ামৌলা গ্রামের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ঘড়িয়ালডাঙ্গা খিতাবখাঁ বুড়িরহাট বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। এছাড়াও নাজিমখান ইউনিয়নের রতিদেব গ্রামের ফসলী জমি ও অর্ধশতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি তিস্তা নদী গর্ভে বিলীনের পথে। এসব এলাকায় স্পার বাঁধে গ্রোয়েন বাঁধ দেয়া না হলে কিছুতেই ভাঙন ঠেকানো যাবে না বলে স্থানীয় ধারণা করছেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি লাভলু মিয়া ও খোরশেদ আলম জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কুড়িগ্রাম পাউবো বিভাগ নদী ভাঙন রোধের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে পাউবোর তিস্তা রক্ষা বেরীবাঁধ ও ক্রস বাঁধ। তাই তিস্তা পাড়ের মানুষজন বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।

ভাঙন আতংকে থাকা গৃহবধু রাবেয়া ও আম্বিয়া বেগম জানান, আমাগো জায়গা তিস্তা নদী গ্রাস করছে। এবারে ৩ বিঘা জমির আমন ধান করেছি তাও খায়া গ্যাছে।

তিস্তার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আনছার আলী (৫৪), দুলাল (৪৬), আষাঢু (৪৫), চিনুনাথ (৪৯) বলেন, এই এলাকায় প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ আতংকে রয়েছে। এই নদী শাসনের ব্যবস্থা না করা হলে শুধু আমরা না তিস্তা রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে যাবে।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যানন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. তাইজুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি পাউবোর কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। নদী ভাঙন রোধের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে তিস্তা পাড়ের মানুষ ও তিস্তা রক্ষা বাঁধ।

কুড়িগ্রাম পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন ঠেকাতে জিও বস্তায় বালু ভর্তি করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহ. রাশেদুল হক প্রধান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের সাথে সমন্বয় করে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/রনজিৎ কুমার রায়/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ