ক্ষেতলালে রাস্তার কাজ বন্ধ রাখায় জনদুর্ভোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:২৬
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর-শ্যামপুর রাস্তা পাকা করনে কাজ থেমে থেমে শুরু করলেও বর্তমান কাজ বন্ধ রাখায় ওই রাস্তায় একটু বৃষ্টির পানি জমে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে কাদার সৃষ্টি হয়। ফলে এলাকার প্রায় ১০ গ্রামের জনগনের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার নাজিরপুর ক্ষেতগাড়ী থেকে কালিতলা বাজার পর্যন্ত ৬৫০ মিটার এবং রঘুনাথপুর থেকে সুলতানপুর পর্যন্ত ৩৫০ মিটার সহ মোট ১ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণের টেন্ডার আহব্বান করা হলে মেসার্স মুঞ্জুরুল আলম মোহন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই রাস্তা পাকা করণের কাজ পায়।
সে অনুযায়ী চলতি বছর মার্চ মাসে রঘুনাথপুর-শ্যামপুর রাস্তা পাকা করণের জন্য মাটি খনন করে আংশিক বালু দিয়ে প্রায় ৬ মাস ফেলে রাখা হয়। বর্তমান রাস্তায় কাজ বন্ধ রাখায় বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টির পানি জমে কাদা ও গর্ত সৃষ্টির ফলে ওই এলাকার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাস্তার এই দূর্ভোগের কারণে এলাকার কৃষক তাদের কষ্টের উৎপাদিত কৃষি পূন্য সময়মত বাজার জাত করতে না পারায় নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জরুরী ও মূমূর্ষ রোগেদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সময়মত চিকিৎসার অভাবে অনেকেয় চরম ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছে।
উপজেলার সহলাপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন খন্দকার বলেন, থেমে থেমে রাস্তা নির্মাণ করায় বিভিন্ন প্রকার যানবাহন নিয়ে চলাচলে বিঘœতা সৃষ্টির ফলে যানবাহন ছাড়ায় পায়ে হেটে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
উপজেলার আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক একরামুল ইসলাম উজ্জল বলেন, গত মার্চ মাস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এ রাস্তা পাকা করণ কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে বন্ধ থাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষকরা তাদের স্কুলে সময়মত পৌছা সম্ভব হয় না।
আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন, রঘুনাথপুর-শ্যামপুর রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় জনদূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জনগনের চলাচলের বিষয়টি বিবেচনা করে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভাতে রাস্তাটি দ্রুত পাকা করনের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মুঞ্জুরুল আলম মোহন এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, রঘুনাথপুর-শ্যামপুর রাস্তা পাকা করনের জন্য ইতিমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বরাবারে পরপর তিনটি পৃথক তাগাদা নোটিশ দেওয়ার পর ঠিকাদার আগামী ঈদুল আযহার পর ওই রাস্তার বাকী কাজ শেষ করার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
এবিএন/মিজানুর রহমান/জসিম/তোহা
উপজেলা এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার নাজিরপুর ক্ষেতগাড়ী থেকে কালিতলা বাজার পর্যন্ত ৬৫০ মিটার এবং রঘুনাথপুর থেকে সুলতানপুর পর্যন্ত ৩৫০ মিটার সহ মোট ১ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণের টেন্ডার আহব্বান করা হলে মেসার্স মুঞ্জুরুল আলম মোহন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই রাস্তা পাকা করণের কাজ পায়।
সে অনুযায়ী চলতি বছর মার্চ মাসে রঘুনাথপুর-শ্যামপুর রাস্তা পাকা করণের জন্য মাটি খনন করে আংশিক বালু দিয়ে প্রায় ৬ মাস ফেলে রাখা হয়। বর্তমান রাস্তায় কাজ বন্ধ রাখায় বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টির পানি জমে কাদা ও গর্ত সৃষ্টির ফলে ওই এলাকার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাস্তার এই দূর্ভোগের কারণে এলাকার কৃষক তাদের কষ্টের উৎপাদিত কৃষি পূন্য সময়মত বাজার জাত করতে না পারায় নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জরুরী ও মূমূর্ষ রোগেদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সময়মত চিকিৎসার অভাবে অনেকেয় চরম ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছে।
উপজেলার সহলাপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন খন্দকার বলেন, থেমে থেমে রাস্তা নির্মাণ করায় বিভিন্ন প্রকার যানবাহন নিয়ে চলাচলে বিঘœতা সৃষ্টির ফলে যানবাহন ছাড়ায় পায়ে হেটে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
উপজেলার আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক একরামুল ইসলাম উজ্জল বলেন, গত মার্চ মাস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এ রাস্তা পাকা করণ কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে বন্ধ থাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষকরা তাদের স্কুলে সময়মত পৌছা সম্ভব হয় না।
আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন, রঘুনাথপুর-শ্যামপুর রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় জনদূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জনগনের চলাচলের বিষয়টি বিবেচনা করে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভাতে রাস্তাটি দ্রুত পাকা করনের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মুঞ্জুরুল আলম মোহন এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, রঘুনাথপুর-শ্যামপুর রাস্তা পাকা করনের জন্য ইতিমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বরাবারে পরপর তিনটি পৃথক তাগাদা নোটিশ দেওয়ার পর ঠিকাদার আগামী ঈদুল আযহার পর ওই রাস্তার বাকী কাজ শেষ করার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
এবিএন/মিজানুর রহমান/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ