আজকের শিরোনাম :

সিরাজগঞ্জে অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা স্কুলে আটকে পড়া ছাত্রের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৫৬

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে স্কুলে ‘ছুটির ঘন্টা’ কাহিনীর পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছিল। স্থানীয়দের চেষ্টায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেল টয়লেটে আটকে পড়া ৫ম শ্রেণির ছাত্র ইব্রাহিম (১১)। 

ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও শিশুটি এখনো চরমভাবে শারিরীক অসুস্থতায় ভূগছে বিলম্বে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, রায়গঞ্জ উপজেলার সারুটিয়া নিঝুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল দুপুরে ওই ছাত্র ইব্রাহিম প্রকৃতির ডাকে স্কুলের টয়লেটে গেলে তার বের হওয়ার আগেই টয়লেটের গেট তালা দিয়ে স্কুল ছুটি দিয়ে শিক্ষকসহ সবাই চলে যায়।

এ অবস্থায় প্রচন্ড গরমের মধ্যে দুপুর প্রায় দেড়টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সে ল্যাট্রিনের মধ্যে আটকে ছিল। ওই দিন বিকেলে স্কুলের মাঠে গ্রামের ছেলেরা খেলতে এসে টয়লেটের ভিতরে গোংরানির আওয়াজ পেয়ে, তালা ভেঙ্গে প্রায় অচেতন অবস্থায় ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রহমতুল বারী রাসেল জানান, আতংকে শিশুটি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। মূমুর্ষাবস্থায় তিনি স্যালাইনসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। কিন্তু তাকে এখনো ওই হাসপাতালে নেয়া হয়নি।

ইব্রাহিমের মা আঞ্জুয়ারা বেগম কান্না কন্ঠে বলেন, তার ছেলের এখন হাত পায়ে শক্তি নেই। কথা বলতে পারে না। কিছু খাচ্ছেও না। ধরে ধরে নিয়ে প্রশ্রাব-পায়খানা করাতে হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকতারুজ্জামান জানান, ঘটনাটি তদন্তের জন্য সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুনরুজ্জামানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার বিকেল থেকে এ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছেন তিনি। অসুস্থ্য ছাত্রের চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহনে  ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন মল্লিককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ২/৪ দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে উপজেলার মানসম্মত শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন গবেষণা পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলাম শিহাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।

এমন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য একটি মহল জোর তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে।  তারা জ্বীনের আছর বলে ভুল বুঝিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালেও নিতে দিচ্ছে না। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত স্কুল চলার বিধান থাকলেও দেড়টার সময় স্কুল বন্ধ করে ছুটির ঘটনায় ছুটির ঘন্টার কাহিনী পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বলে স্থানীয়রা এই অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।

 

এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ