টাঙ্গাইলে বাসে গণধর্ষণ : এখনও গ্রেপ্তার হয়নি চালক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৫৯
টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ে চলন্ত বাসে প্রতিবন্ধি নারীকে ধর্ষণের ঘটনার পক্ষকাল অতিবাহিত হলেও ঘটনার মূল হোতা বাসের চালক আলমকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা চালক আলমকে গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত চালক চালক গ্রেপ্তার না হওয়ায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ধর্ষিতার পরিবার।
ধর্ষিতার বড় ভাই জানান, বাসের হেলপার ও সুপারভাইজারকে দ্রুত গ্রেপ্তার করায় আমরা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। তবে ঘটনার পনের দিনেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও বাস চালককে গ্রেপ্তার করতে না পারায় আমরা হতাশ। ন্যায় বিচার পাবো কি না তাও নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। আমি পুলিশের কাছে দবি করছি তারা যেন চালককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে এবং আমি যেন আমার বোনের সাথে ন্যাক্কারজনক ঘটনার ন্যয় বিচার পাই।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই বাসের হেলপার নাজমুল ইসলাম ও সুপারভাইজার এরশাদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। হেলপার নাজমুল ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার স্বীকার করেছে। তবে সুপারভাইজার এরশাদ ৫ দিনের রিমান্ড শেষেও সে নিজের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমান পেয়েছি। ঘটনার মূল হোতা চালক আলমকে গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লখ্য ৩০ শে আগষ্ট রাত ১০টার পর প্রতিবন্ধি ওই নারী টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর গামী বাসটিতে উঠেন। পথিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অন্য সব যাত্রীরা নেমে যায়। সেতুর পূর্ব প্রান্তের বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছার পর ওই নারীকে একা পেয়ে চালক আলম খন্দকার ধর্ষণ করেন। এসময় নাজমুল বাসের দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে পাহারা দেন। এসময় মেয়েটির চিৎকারে মহাসড়কে টহলরত পুলিশ শব্দ শুনতে পেয়ে বাসটির পিছু নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পুর্বপাড় বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে গাড়িসহ হেলপারকে আটক করতে পারলেও বাকি সবাই পালিয়ে যায়।
এবিএন/কামাল হোসেন/জসিম/তোহা
এবিএন/কামাল হোসেন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ