আজকের শিরোনাম :

ইসলামপুরে যমুনার তীরবর্তী বাঁধে ধ্বস : আতঙ্কে এলাকাবাসী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৩৯

জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনার তীর সংরক্ষণ উলিয়া বাজার রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। আতংক বিরাজ করছে যমুনা নদীর তীরবর্তী বাসির মাঝে। ৪৫৫কোটি টাকার ব্যয়ে সদ্য নির্মিত এই সংরক্ষণ প্রকল্পটির কাজে নিয়মের কথাও বলাবলি হচ্ছে।

স্থানীয়দের কেও কেও প্রভাবশালীদের অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকেই দায়ী করেছেন। উলিয়া বাজার রক্ষা বাঁধ নামে একটি বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যমুনা ভাঙন রোধ কল্পে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।

এতে রক্ষা হবে নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া এলাকায় সদ্য নির্মিত এ প্রকল্পটি’র বাঁধের কিছু অংশে সিসি ব্লক  বন্যার পানির ¯্রােতের ধাক্কায় যমুনার গর্ভে চলে যাওয়ায় হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে। নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্র উলিয়া বাজার, ঐতিহ্যবাহী এএম উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শত শত ঘরবাড়ি, ফসলিজমি ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।

প্রভাবশালী মহল বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের হিড়িকের কারণে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ভাঙ্গনরোধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত বাঁশের পাইলিংটিও টিকছে না।

উলিয়া পাইলিং ঘাট এলাকার নূরনবী, সুলতান, আব্দুর রউফসহ অনেকেই জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশের মাধ্যোমে নি¤œ মানের কাজ করে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা’র সিংহ ভাগই আত্মসাত করেছে এটাও সত্য। পাশাপাশি রুহুল আমিনও কালাম গংরা ক্রমাগত বালু উত্তোলন করায় বাঁধে ভাঙ্গন ধরেছে।

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে  বালু উত্তোলন বন্ধ করেছিলাম। জামালপুর পানি উন্নয়নের বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার জানান, ভাঙ্গন ঠেকাতে বালির জিও ব্যাগ ফেলানোর প্রস্ততি চলছে। ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান পারিশা ট্রেড সিষ্টেম লিমিটেডের মালিক মশিউর রহমানের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

 

এবিএন/শাহ্ জামাল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ