আজকের শিরোনাম :

ধুনটে কাজী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:২১

বগুড়ার ধুনটের চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন কাজী অফিসের কাজী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  গতকাল রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোপালনগর ইউনিয়ন কাজী অফিসের অফিস সহকারী ও গোপালনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সোমশের আলী ধুনট মডেল প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে সোমশের আলী বলেন, গোপালনগর ইউনিয়ন কাজী অফিসের কাজী মতিউর রহমানের মৃত্যুর পর চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন কাজী অফিসের কাজী রেজাউল করিম গোপালনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত কাজী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন।

তিনি দায়িত্ব গ্রহনের পর ০৫/০৮/২০১৬ইং তারিখে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে গোপালনগর ইউনিয়ন কাজী অফিসের অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন এবং আমাকে এ-ভলিয়াম, সি-ভলিয়াম ও ডি-ভলিয়াম বহি প্রদান করেন। কিন্তু কাজী রেজাউল করিম গোপালনগর ইউনিয়ন কাজী অফিসে কোন দিন না গিয়ে আরো তিন জন লোকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাদের দিয়ে বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রির কাজ করাচ্ছেন।  অদক্ষ লোকদের দিয়ে গোপালনগর ইউনিয়নে বিবাহ ও তালাক রেজিঃ করায় অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

কাজী রেজাউল করিমের কথিত সহকারী রফিকুল ইসলাম গত ২১/০৪/২০১৭ ইং তারিখে কুড়ান মল্লিক নামের এক ব্যক্তির বিবাহ রেজিঃ করিয়েছেন।  তিনি এ-ভলিয়ামে নম্বর লিখেছেন ১/১৭, পৃঃ ৭৪। কিন্তু কাজী রেজাউল করিমের আরেক সহকারী আব্দুস সাত্তার ৫/০৫/২০১৭ ইং তারিখে হাবিব তাং নামের এক ব্যক্তির বিবাহ রেজিঃ করিয়েছে। তিনি এ-ভলিয়াম বহিতে নম্বর লিখিছেন ১/১৭, পৃ:৩০। কারন একই ভলিয়াম বহিতে ৭৪ নং পৃষ্ঠায় বিবাহ রেজিঃ করার পর কিভাবে আবার ৩০ নং পাতায় আরেকটি বিবাহ রেজিঃ হয়।

এছাড়া ২২/০৭/১৭ ইং তারিখে লৎফর রহমান নামের এক ব্যক্তির বিবাহ তালাক রেজিষ্ট্রিতে ২/১৭ ভলিয়ামে ক্যাটালগ নং ১৫/১৭ লেখা রয়েছে। পরবর্তীতে শাহজাহান আলী নামের আরেক ব্যক্তির তালাক রেজিষ্ট্রিতে ৩/১৭ ভলিয়ামে ক্যাটালগ নং ১১৬/১৭ লেখা হয়েছে। এই দুটি তালক রেজিঃ রশিদে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।

তাছাড়া বিবাহ রেজিষ্ট্রির কোন রশিদেই কাজী রেজাউল করিমের সীল ও স্বাক্ষর নেই। এসবের প্রতিবাদ করায় কাজী রেজাউল করিম আমার কাছ থেকে বিবাহ রেজিট্রির এ-ভলিয়াম বহি কৌশলে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত রেজিট্রি বহি ফেরত দেয়নি। আর এভাবেই কাজী রেজাউল করিম সাধারন মানুষের সাথে অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতি করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।  তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কাজী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।         

এবিএন/ইমরান হোসেন ইমন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ