জুয়েলের স্বপ্নের “মোহিনী তাজ”
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:০০
সম্রাট শাহজাহান স্ত্রী মমতাজের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে যেমন স্থাপন করেছিলেন জগৎবিখ্যাত আগ্রার তাজমহল। তেমনি একজন চিকিৎসক তার স্ত্রীর প্রতি যে ভালোবাসা ও নিজের স্বপ্নের বহি:প্রকাশ করেছেন দৃষ্টিনন্দন, নয়নাভিরাম, আকর্ষণীয় স্থাপত্যশৈলী “মোহিনী তাজ” তৈরি করে।
ঠাকুরগাঁও জেলার আখাঁনগর ইউনিয়নের চতুরাখোর গ্রামের মাধবীকুঞ্জে চিকিৎসক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল নিজেই আর্কিটেকচার, ইঞ্জিনিয়ার, ডিজাইনার এর ভূমিকা পালন করে এই দৃষ্টিনন্দীত “মোহিনী তাজ” তৈরি করেন।
নিজের স্বপ্ন, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব, নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা ও স্ত্রীর প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসাকে উৎসাহ ও সাহস হিসেবে নিয়ে তিনি “মোহিনী তাজ” এর কাজ শুরু করেন।
তাই তো ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল তার দৃষ্টিনন্দীত “মোহিনী তাজ” কে নিয়ে ছন্দে ছন্দে লিখেছেন-
“গগন বিদারী ভূবন রাজ,
মাধবীকুঞ্জে মোহিনী তাজ।
শিল্প শৈলী কারুকাজ,
দ্বিগ্বিজয়ী মোহিনী তাজ”। তাহলে ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল শুধু একজন চিকিৎসকই নন, তিনি কবি, আর্কিটেকচার, ইঞ্জিনিয়ার, ডিজাইনার ও বটে। ইতোমধ্যে তিনি রচনা করেছেন “স্বপ্নের প্রাবন্ধিক কাব্য” ও “চিঠিহীন খাম” নামের দুটি কবিতার বই। গত বছরের ২৬শে নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে “মোহিনী তাজ”। অবসর সময় কাটানোর জন্য ও দৃষ্টিনন্দীত “মোহিনী তাজ” দেখার জন্য প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীর ভির জমায় সেখানে। দর্শনার্থীরা “মোহিনী তাজ” দেখে এর কারুকার্যকে শিল্পকর্ম বলা যেতেই পারে বলে মনে করছেন। কারণ মোহিনী তাজ শুধু একটি বড় বাসা তেমনটা নয়, ডা. ফিরোজ জামান জুয়েলের মনের শিল্পীর বাস্তবে তৈরি করা শিল্পকর্ম “মোহিনী তাজ”।
“মোহিনী তাজ”এর মালিক ডাক্তার ফিরোজ জামান জুয়েল পেশায় একজন চিকিৎসক। তার স্ত্রী জেসমিন রহিম ও একজন চিকিৎসক। “মোহিনী তাজ” ঘুরে এসে ড. ফিরোজ জামান জুয়েলের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তার কাছে কেন এটার নাম “মোহিনী তাজ” দেওয়া হল জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোহিনী শব্দের অর্থ আকর্ষণীয়, মোহমীয়, আবেদনপূর্ণ, মমতাময়ী। আর তাজ অর্থ সেরা, শীর্ষতম বা সর্বগুণে গুণান্বিত। মোহিনী তাজ আমি উৎসর্গ করেছি আমার প্রিয়তম স্ত্রী ডাক্তার জেসমিন রহিম ও আমার পরিবারের নারীকুল যেমন আমার মা, বোন ও অন্য নারীদের উদ্দেশ্যে। তাই সার্বিক অর্থে সমগ্র নারীকুলের প্রতি সম্মানার্থে এর নামকরণ করা হয় “মোহিনী তাজ”। “মোহিনী তাজ” দূর থেকে দেখে মনে হবে একটা তিনতলা বাসা। কিন্তু ডা. জুয়েল শিল্পির কাছে এটা একটা ভাস্কর্য শিল্প। “মোহিনী তাজ” এ কারুকার্য ও ডিজাইনের মাধ্যমে ডা.জুয়েল তুলে ধরেছেন তার জীবনের ইতিহাস, জীবনের গুরত্বপূর্ণ কিছু সময়, জীবনদর্শন, পরিবার, দেশ, মানুষের মননশীলতা। শৈল্পিক কারুকাজ করা হয়েছে পৃথিবীর কিছু মৌলিক উপকরণ যেমন পৃথিবীর জল-স্থল, সূর্য, চাঁদ, তাঁরা, সাত আসমান, রংধনু। ডা. ফিরোজ জামান জুয়েলের কাছে এই “মোহিনী তাজ” নির্মাণ এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন:- আমার বিয়ের বারো বছর চলে গেলে আমি বাবা হতে না পাড়ায় ও আর কোনদিন বাবা হতে পারবো কি না তা নিয়ে মানুষের মুখে চলছিল গুঞ্জন। এক দিন ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের এমারজেন্সিতে নাইট ডিউটি করার সময় সামান্য ঘুমের মাঝে একটি অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলাম। তিন মাস পর আকস্মিকভাবে জানতে পারলাম আমি বাবা হচ্ছি। তখন সেই দিন স্বপ্নে একটি ঘর দেখেছিলাম আমি সেটা মনে করলাম ও সেই স্বপ্নে দেখা ঘরটি হচ্ছে এই “মোহিনী তাজ”। “মোহিনী তাজ” তৈরিতে সহধর্মিনী ডা: জেসমিন রহিমের কেমন অনুপ্রেরণা পেয়েছেন এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেসমিন শুধু আমার স্ত্রী এটুকু বললে ভুল হবে। আজ তারই অনুপ্রেরণা, আমার প্রতিটি কাজের সাথে একমত প্রশন করেছে। আমাদের স্বপ্নের “মোহিনী তাজ” এক সময় নিদর্শন হয়ে থাকবে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে। “মোহিনী তাজ” মোট ১৩টি স্থম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এখানে শিল্পী তাঁর পরিবারের ১৩ জন ভাই-বোনকে উদ্দেশ্য করেছেন। প্রতিটি জানালা ও তার বহিঃস্থ কারুকাজ লাল, হলুদ নীল রঙের সমন্বয় করা হয়েছে সূর্য, চাঁদ, তারার আদলে। “মোহিনী তাজ” এর দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডা. জুয়েল এখানে ব্যাবস্থা করেছেন কমিউনিটি সেন্টার, শিশুদের বিনোদন পার্ক, পিকনিক স্পটের। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড়ে মূখরিত হয়ে থাকে “মোহিনী তাজ”। দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই এই মোহিনী তাজ কে ঘিরে বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা হয়। ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল সহধর্মিনী জেসমিন রহিম জানান, আমার স্বামী একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। জুয়েলের প্রতিটি স্বপ্ন পূরনের জন্য নিজের সাধ্য মত উৎসাহ প্রদান করি। তার স্বপ্নের “মোহিনী তাজ” তৈরি ক্ষেত্রে সব সময় পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দিয়েছি। আসলে মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বেচেঁ থাকে। আমার স্বামীর প্রতিটি স্বপ্ন পূরণে শেষ পর্যন্ত তার সহায়ক হিসেবে থাকতে চাই। ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল একটু মনক্ষুন্নতা নিয়েই বলেন, এলাকার কিছু বখাটে ছেলে ও গুটি কিছু দুষ্ট মানুষের কারণে আমার “মোহিনী তাজ” এ দর্শনার্থীরা আসতে রাস্তায় সমস্যায় পড়তেছে। তারা দর্শনার্থীদের রাস্তায় আটকিয়ে টাকা পয়সা নিচ্ছে এছাড়াও বিনোদন কেন্দ্রে বখাটে ছেলেরা এসে গায়েঁ পড়ে ঝগড়া করতেছে। এবিএন/রবিউল এহসান রিপন/জসিম/রাজ্জাক
“গগন বিদারী ভূবন রাজ,
মাধবীকুঞ্জে মোহিনী তাজ।
শিল্প শৈলী কারুকাজ,
দ্বিগ্বিজয়ী মোহিনী তাজ”। তাহলে ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল শুধু একজন চিকিৎসকই নন, তিনি কবি, আর্কিটেকচার, ইঞ্জিনিয়ার, ডিজাইনার ও বটে। ইতোমধ্যে তিনি রচনা করেছেন “স্বপ্নের প্রাবন্ধিক কাব্য” ও “চিঠিহীন খাম” নামের দুটি কবিতার বই। গত বছরের ২৬শে নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে “মোহিনী তাজ”। অবসর সময় কাটানোর জন্য ও দৃষ্টিনন্দীত “মোহিনী তাজ” দেখার জন্য প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীর ভির জমায় সেখানে। দর্শনার্থীরা “মোহিনী তাজ” দেখে এর কারুকার্যকে শিল্পকর্ম বলা যেতেই পারে বলে মনে করছেন। কারণ মোহিনী তাজ শুধু একটি বড় বাসা তেমনটা নয়, ডা. ফিরোজ জামান জুয়েলের মনের শিল্পীর বাস্তবে তৈরি করা শিল্পকর্ম “মোহিনী তাজ”।
“মোহিনী তাজ”এর মালিক ডাক্তার ফিরোজ জামান জুয়েল পেশায় একজন চিকিৎসক। তার স্ত্রী জেসমিন রহিম ও একজন চিকিৎসক। “মোহিনী তাজ” ঘুরে এসে ড. ফিরোজ জামান জুয়েলের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তার কাছে কেন এটার নাম “মোহিনী তাজ” দেওয়া হল জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোহিনী শব্দের অর্থ আকর্ষণীয়, মোহমীয়, আবেদনপূর্ণ, মমতাময়ী। আর তাজ অর্থ সেরা, শীর্ষতম বা সর্বগুণে গুণান্বিত। মোহিনী তাজ আমি উৎসর্গ করেছি আমার প্রিয়তম স্ত্রী ডাক্তার জেসমিন রহিম ও আমার পরিবারের নারীকুল যেমন আমার মা, বোন ও অন্য নারীদের উদ্দেশ্যে। তাই সার্বিক অর্থে সমগ্র নারীকুলের প্রতি সম্মানার্থে এর নামকরণ করা হয় “মোহিনী তাজ”। “মোহিনী তাজ” দূর থেকে দেখে মনে হবে একটা তিনতলা বাসা। কিন্তু ডা. জুয়েল শিল্পির কাছে এটা একটা ভাস্কর্য শিল্প। “মোহিনী তাজ” এ কারুকার্য ও ডিজাইনের মাধ্যমে ডা.জুয়েল তুলে ধরেছেন তার জীবনের ইতিহাস, জীবনের গুরত্বপূর্ণ কিছু সময়, জীবনদর্শন, পরিবার, দেশ, মানুষের মননশীলতা। শৈল্পিক কারুকাজ করা হয়েছে পৃথিবীর কিছু মৌলিক উপকরণ যেমন পৃথিবীর জল-স্থল, সূর্য, চাঁদ, তাঁরা, সাত আসমান, রংধনু। ডা. ফিরোজ জামান জুয়েলের কাছে এই “মোহিনী তাজ” নির্মাণ এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন:- আমার বিয়ের বারো বছর চলে গেলে আমি বাবা হতে না পাড়ায় ও আর কোনদিন বাবা হতে পারবো কি না তা নিয়ে মানুষের মুখে চলছিল গুঞ্জন। এক দিন ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের এমারজেন্সিতে নাইট ডিউটি করার সময় সামান্য ঘুমের মাঝে একটি অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলাম। তিন মাস পর আকস্মিকভাবে জানতে পারলাম আমি বাবা হচ্ছি। তখন সেই দিন স্বপ্নে একটি ঘর দেখেছিলাম আমি সেটা মনে করলাম ও সেই স্বপ্নে দেখা ঘরটি হচ্ছে এই “মোহিনী তাজ”। “মোহিনী তাজ” তৈরিতে সহধর্মিনী ডা: জেসমিন রহিমের কেমন অনুপ্রেরণা পেয়েছেন এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেসমিন শুধু আমার স্ত্রী এটুকু বললে ভুল হবে। আজ তারই অনুপ্রেরণা, আমার প্রতিটি কাজের সাথে একমত প্রশন করেছে। আমাদের স্বপ্নের “মোহিনী তাজ” এক সময় নিদর্শন হয়ে থাকবে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে। “মোহিনী তাজ” মোট ১৩টি স্থম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এখানে শিল্পী তাঁর পরিবারের ১৩ জন ভাই-বোনকে উদ্দেশ্য করেছেন। প্রতিটি জানালা ও তার বহিঃস্থ কারুকাজ লাল, হলুদ নীল রঙের সমন্বয় করা হয়েছে সূর্য, চাঁদ, তারার আদলে। “মোহিনী তাজ” এর দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডা. জুয়েল এখানে ব্যাবস্থা করেছেন কমিউনিটি সেন্টার, শিশুদের বিনোদন পার্ক, পিকনিক স্পটের। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড়ে মূখরিত হয়ে থাকে “মোহিনী তাজ”। দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই এই মোহিনী তাজ কে ঘিরে বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা হয়। ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল সহধর্মিনী জেসমিন রহিম জানান, আমার স্বামী একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। জুয়েলের প্রতিটি স্বপ্ন পূরনের জন্য নিজের সাধ্য মত উৎসাহ প্রদান করি। তার স্বপ্নের “মোহিনী তাজ” তৈরি ক্ষেত্রে সব সময় পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দিয়েছি। আসলে মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বেচেঁ থাকে। আমার স্বামীর প্রতিটি স্বপ্ন পূরণে শেষ পর্যন্ত তার সহায়ক হিসেবে থাকতে চাই। ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল একটু মনক্ষুন্নতা নিয়েই বলেন, এলাকার কিছু বখাটে ছেলে ও গুটি কিছু দুষ্ট মানুষের কারণে আমার “মোহিনী তাজ” এ দর্শনার্থীরা আসতে রাস্তায় সমস্যায় পড়তেছে। তারা দর্শনার্থীদের রাস্তায় আটকিয়ে টাকা পয়সা নিচ্ছে এছাড়াও বিনোদন কেন্দ্রে বখাটে ছেলেরা এসে গায়েঁ পড়ে ঝগড়া করতেছে। এবিএন/রবিউল এহসান রিপন/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ