আজকের শিরোনাম :

গাইবান্ধায় প্রশিক্ষণ কোর্স পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০১৮, ২২:১১

গাইবান্ধা, ১৬ মে, এবিনিউজ : গাইবান্ধা বিসিক শিল্প নগরীতে দু’মাসব্যাপী ৪৫ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে শতরঞ্চি প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার গাইবান্ধা বিসিক শিল্প নগরীতে শতরঞ্চি শিল্পের উন্নয়ন রংপুর-২য় পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষর্ণার্থীদের তৈরী শতরঞ্চি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল।

এ সময় তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণকারিদের তৈরীর শতরঞ্চির উপকরণ দেখেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন। এ
সময় উপসি'ত ছিলেন ডিজিএম বিসিক রংপুর ও শতরঞ্চি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. খায়রুল আলম আলমাজী, গাইবান্ধা বিসিকের এজিএম মো. নুরুল ইসলাম, প্রমোশন অফিসার মো. আব্দুল কাদের, শতরঞ্চি প্রশিক্ষক রঞ্জিতা বেগম, মোছা. সুরাইয়া বেগম, মো. ছামাদ মিয়া ও সাংবাদিক উত্তম সরকার প্রমুখ।

এ সময় প্রশিক্ষণ গ্রহণকারিদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রশিক্ষণটি অত্যান- যুগোপযোগি ও এটি জেলার মানুষের কর্মসংস'ানের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ জেলার কুটির শিল্পে সহায়ক উন্নয়ন ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও মানসম্পন্ন শতরঞ্চি তৈরী করতে পারলে বাজারজাত করণে যেমন সহজতর হবে তেমনি নিজেদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। বাজারজাত করণে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতাসহ গাইবান্ধায় শতরঞ্চি পল্লী গড়ে তোলার ব্যাপারেও আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক খায়রুল আলমাজী জানান, প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস'ার উন্নয়নের লক্ষ্যে কর্মসংস'ানের জন্য এই প্রকল্পটি অনুমোদন করেন। প্রশিক্ষণ প্রদানের পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫% সরল সুদে তাদেরকে ঋণ প্রদানের সুযোগ রয়েছে।

গাইবান্ধায় এই প্রশিক্ষণে তিনটি কোর্স পাটের সুতলি দ্বারা শতরঞ্চি তৈরী, মকমল ও কটন সুতা দ্বারা শতরঞ্চি তৈরী এবং মকমল, কটন ও পাটের সুতলি দ্বারা ট্যাপেস্ট্রি তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এই কোর্স ৩ বছর মেয়াদী। প্রতি কোর্সে ১৩ জন পুরুষ, ৩২ জন নারী অংশ গ্রহণ করেছে।

এই প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধাসহ রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও লালমনিরহাটে শতরঞ্চি তৈরীর প্রশিক্ষণ ও এই শিল্পের বিকাশে কাজ করা হবে।  

এবিএন/আরিফ উদ্দিন/জসিম/নির্মল

এই বিভাগের আরো সংবাদ