কাশিয়ানীতে হতদরিদ্রের চাল বিতরণে অনিয়ম
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:২২
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় দশ টাকা মূল্যের চাল ৩০ কেজির স্থলে ২৭ কেজি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী চালের ডিলার মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। ফলে ওই হতদরিদ্র মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মোশারফ হোসেন ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বাথানডাঙ্গা বাজারে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রয় করা হয়। এ কর্মসূচীর সুবিধাভোগীদের জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও ওজনে কারচুপি করে ২৭ কেজি করে চাল দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। এ সময় চাল বিতরণের স্থানে দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলাউদ্দিনকে পাওয়া যায়নি।
পরে অনিয়মের খবর পেয়ে ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন এবং মহেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল কমের সত্যতা যাচাইয়ের ৮/১০ জন কার্ডধারীর চাল পরিমাপ করে ২/৩ কেজি করে চাল কম পান। পরে তাদেরকে ৩ কেজি করে চাল দিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
উপজেলার ডহরদূর্গাপুর গ্রামের লায়েক শেখ, তাসুদ শেখ ও নাজমুল শেখসহ একাধিক সুবিধাভোগী অভিযোগ করে জানায়, চালের ডিলার মোশারফ হোসেন ৩০ কেজির কথা বলে তাদেরকে ২৭ কেজি করে দিয়েছেন। অথচ তাদের কাছ থেকে ৩০ কেজি চালের টাকা নিয়েছেন ডিলার।’
মহেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল মেপে ২৭ কেজি বা তার একটু বেশি পেয়েছি। কার্ডধারীদের ঘাটতি চাল পুরণ করে দিয়েছি।’
চালের ডিলার মো. মোশারফ হোসেন ওজনে চাল কম হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘চাল মাপার কাটায় (বাটখারা) একটু সমস্যা থাকার কারণে চাল কম হয়েছে। পরে সেটা ঠিক করে সঠিকভাবে পরিমাপ করে চাল দেয়া হয়।’
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, এস, এম মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘চাল বিতরণে অনিয়মের কথা শুনেছি এবং তাৎক্ষনিক ট্যাগ অফিসার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলাউদ্দিনকে সরেজমিনে পাঠিয়েছি। এর আগেও অনিয়মের মোশারফ হোসেনের ডিলার বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু মাননীয় এমপি মহোদয়ের অনুরোধে বহাল রাখা হয়েছে।’
এবিএন/লিয়াকত হোসেন (লিংকন)/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ