রাজবাড়ীতে স্মাট কার্ড বিতরণের ৩য় দিনেও চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৩৯
গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে স্মার্ট কার্ড বিতরণ। স্মার্ট কার্ড নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ছিলো উৎসবের আমেজ। কিন্তু সেই উৎসব আমেজ রুপ নিয়েছে চরম হয়রানি আর কষ্টে। আজ মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার থেকে স্মার্ট বিরণ শুরু হলেও স্মার্ট সংগ্রহকারী ভোটার রা ভোর ৬ঠা থেকেই লাইনে এসে দাড়িয়ে থাকে।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকেই হাজার হাজার মানুষ স্মার্ট কার্ড সংগ্রহের জন্য লাইনে দাড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
আমাদের মূল্যায়ন করা হয় শুধূ ভোটের সময় ! ভোট শেষ হলে আর আমাদের কেউ খোজ রাখে না। এই প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে দাড়িয়ে আছি, কোন জনপ্রতিনিধি আমাদের খোঁজও নিলো না এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধীক সাধারণ ভোটারা।
গত কয়েক দিন যাবত সকাল ৯টা থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু করে বিকেল ৪টা মধ্যে কার্ড বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ৪টার পর থেকেও শতশত মানুষকে কার্ড সংগ্রহের জন্য লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
৪টার মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ বন্ধ করার কারনে যারা টোকেন সংগ্রহ করেছিল তারা ফিঙ্গার প্রিন্ট না দিয়ে বাড়ি চলে যেতে হয়। ফলে কার্ড নিতে পারছেন না অনেকই। উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের লোকবল সংকট, অযোগ্য লোক নিয়োগ, স্মার্ট কার্ড বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃতীয় পক্ষের অভিজ্ঞতার অভাবের ফলে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে পুলিশকে হিমসিম খেতে হয়েছে।
৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও আনন্দ টিভির হেড অফিসের স্টাফ মোঃ আলিম বলেন, আমি ঢাকা থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে কার্ড সংগ্রহের জন্য আসছি। সেই সকাল ৯টায় এসে লাইনে দাড়িয়েছি। দীর্ঘ ৬ঘন্ট পর টোনেনের দেখা পাই তখন টোকেন প্রদানকারী বলেন আপনি নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন আপনার কার্ড আসেনি। আমি ৬ঘন্টা লাইনে থেকেউ কার্ড পেলাম না।
কার্ড সংগ্রহ করতে আশা একাধীকন ভোটার বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কার্ড বিতরণ করেলে এমন ভোগান্তির শিকার হতে হতো না আমাদের।
সড়েজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কার্ড বিতরণের কাজ করছে মাত্র ২৫জন তাদের মধ্যে ৩জন দিচ্ছে টোকেন।এই কাজে নিয়োজিত তারা একেবারেই নতুন। কাজ বোঝে কম তাই সময় বেশি লাগেছে। এ কারনেই সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ ফকরুদ্দিন আহম্মেদ বলেন ৮সেপ্টেম্বও থেকে বরাট ইউনিয়নে আমরা নিয়ম অনুয়ায়ী সঠিক ভাবে কার্ড বিতরণ করেছি। বরাট ইউনিয়নে মোর্ট ১৫৪২৬জনের মধ্যে কার্ড বিতরণ করা হবে। আজ প্রায় আড়াই হাজার ভোটারের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এক সাথে কয়েকটি ওয়ার্ডের কার্ড বিতরণ করায় একটু সমস্যা হচ্ছে এটা সারা বাংলাদেশের চিত্র। কারণ মাত্র ২৫জন কর্মীর মাধ্যমে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/রাজ্জাক
আমাদের মূল্যায়ন করা হয় শুধূ ভোটের সময় ! ভোট শেষ হলে আর আমাদের কেউ খোজ রাখে না। এই প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে দাড়িয়ে আছি, কোন জনপ্রতিনিধি আমাদের খোঁজও নিলো না এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধীক সাধারণ ভোটারা।
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ ফকরুদ্দিন আহম্মেদ বলেন ৮সেপ্টেম্বও থেকে বরাট ইউনিয়নে আমরা নিয়ম অনুয়ায়ী সঠিক ভাবে কার্ড বিতরণ করেছি। বরাট ইউনিয়নে মোর্ট ১৫৪২৬জনের মধ্যে কার্ড বিতরণ করা হবে। আজ প্রায় আড়াই হাজার ভোটারের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এক সাথে কয়েকটি ওয়ার্ডের কার্ড বিতরণ করায় একটু সমস্যা হচ্ছে এটা সারা বাংলাদেশের চিত্র। কারণ মাত্র ২৫জন কর্মীর মাধ্যমে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ