আজকের শিরোনাম :

সালথা তান্ডবের মামলার দুই আসামীর নাম কাটাতে ৫০ হাজার টাকা দাবি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২১, ১৬:০৫

ফরিদপুরের সালথায় তান্ডবের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার দুই আসামীর নাম কাটাতে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে এক মাতুব্বরের বিরুদ্ধে। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় পুলিশের ভয় দেখিয়ে প্রায়ই আসামীদের পরিবারকে হুমকিও দিচ্ছে প্রভাবশালী ওই মাতুব্বর। অভিযুক্ত মাতুব্বরের নাম দিপু মোল্যা (৩৮)। তিনি উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের সোরাপ মোল্যা ওরফে মান্দারের ছেলে।

জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল সালথা উপজেলার সরকারি স্থাপনায় তান্ডবের পর সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল রাজ্জাক মোল্যার ছেলে সানোয়ার মোল্যা (৬০) ও শাহজান মোল্যা (৬৫) নামে দুই বৃদ্ধকে আসামী করা হয়।

আসামী সানোয়ার মোল্যা মেয়ে সেলিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, সালথার হামলার মামলায় আমার বাবা ও চাচা আসামী হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তারা পলাতক থাকার সুযোগে এলাকার প্রভাবশালী মাতুব্বর দিপু মোল্যা প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে এসে পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। দিপু বলে যে, তোর বাবা ও চাচার নাম মামলা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে, তাতে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। টাকা না দিলে তোদের বাড়ির অন্য পুরুষরাও মামলায় আসামী হবে। তোদের ব্যাপারে ওসি সাহেবের সাথে কথা হয়েছে, উনি আমাকে বল্লভদী ইউনিয়নের দায়িত্ব দিয়েছেন। এখানে কে আসামী হবে আর কার নাম বাদ যাবে এটা সম্পূর্ণ আমার দায়িত্ব। পরে আমরা ভয়ে তাকে ২ হাজার টাকাও দিই। কিন্তু তিনি ওই ৫০ হাজার টাকার দাবিতে প্রায়ই আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।    

তিনি আরো বলেন, আমাদের বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ নেই। আমরা ৭-৮ জন মহিলা বাড়িতে থাকি। দিপু যেভাবে প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে এসে টাকার জন্য হানা দিচ্ছে, এতে আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।   

এ বিষয় অভিযুক্ত দিপু মোল্যার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুজ্জামান বলেন, এই ঘটনা আমিও শুনেছি। দিপুকে আমরা খুজছি। তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, লকডাউনকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে গত ৫ এপ্রিল রাতে সালথা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি অফিসে তান্ডব চালায় কয়েক হাজার উত্তেজিত জনতা। এ সময় দুটি সরকারি গাড়িসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়। এ ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়।

এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/জুয়েল

এই বিভাগের আরো সংবাদ