আজকের শিরোনাম :

বিলুপ্তির পথে বাউফলের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪৩

নানা রকম সমস্যার কারনে বিলুপ্তি হতে যাচ্ছে পটুয়াখালীর বাউফলের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মৃৎশিল্লীদের বাসস্থান। যা পালপাড়া নামে পরিচিত। এক সময় উপজেলার ওই গ্রাম গুলো মৃৎশিল্পের জন্য খুবই বিখ্যাত ছিল। মৃৎশিল্পের সামগ্রী দেশের বিভিন্ন এলাকা সহ দেশের বাহিরেও পাঠানো হত। বিভিন্ন প্রযুক্তির উন্নয়ন ও নতুন শিল্পসামগ্রীর প্রসারের কারনে এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও বাজারে সঠিক মূল্যে না পাওয়ায় এ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পালপাড়ায় ঘুরে জানা যায় ,বর্তমান বাজারে এখন আর আগের মতো মাটির জিনিস পত্রের চাহিদা না থাকায় এর স্থান দখল করে নিয়েছে অ্যালিমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের জিনিসপত্র। ফলে বিক্রেতারা মাটির জিনিসপত্র আগের মতো তৈরি না করে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাদের চাহিদা নির্ভর করে ক্রেতাদের ওপর। কিন্ত উপজেলার পাড়াগাঁয় এখন আর মাটির হাঁড়ি-পাতিল তেমনটা চোকে পড়ে না। সে কারনে অনেক পুরনো শিল্পীরাও পেশা ছেরে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে,সঙ্গে মাটির জিনিসপত্র তার পুরনো ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে এ পেশায় যারা জড়িত এবং যাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন মৃৎশিল্প তাদের জীবনযাপন একবারেই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দুঃখ কষ্টের মাঝে দিন কাটলেও বাউফলের মৃৎশিল্পীরা এখনো স্বপ্ন দেখেন। কোন একদিন আবারও কতর বাড়বে মাটির পন্যের। আর সেই সুদিনের অপেক্ষায় দিন-রাত নারী-পুরুষেরা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

এব্যাপরে উপজেলার মৃৎশিল্প সমবায় সমিতির সভাপতি বিশ্বেশ্বর পাল, সম্পাদক গোবিন্দ্র পাল, বিউটি রানী পাল ও  রিণা রানী পাল এ প্রতিবেদককে বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন আগের মতো মাটি সংগ্রহ করতে পাচ্ছেন না। ফলে বেশী টাকা খরচ করে মাটি সংগ্রহ করতে হয়।এ ছাড়াও জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় মাঝে.মাঝে উৎপাদিত জিনিসপত্র বিক্রি করতে যেয়ে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

তারা দাবি করেন মৃৎশিল্পের সাথে  ছয়শত পরিবার কাজ করে তাদেরকে আধুনিক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে শিল্পকর্মে প্রশিক্ষিত করে মৃৎশিল্পের সময়োপযোগী জিনিসপত্র তৈরিতে এবং ঢাকায় একটি মৃৎশিল্পের জিনিসপত্র বিক্রির জন্য একটি নিদিষ্ট স্থান ও বিদেশে এ পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ প্রয়োজন ।

এবিএন/মোঃ দেলোয়ার হোসেন/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ