আজকের শিরোনাম :

বদলগাছীতে নদী থেকে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩৪

নওগাঁর বদলগাছীতে ছোট যমুনা নদী থেকে অবাধে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলনের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে  ফসলি জমি। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে জমির মালিক।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায় উপজেলার ভগবানপুর মৌজায় বেগুন জোয়ার গ্রামের মোঃ তকিমদ্দীন এর ছেলে জনাব আলীর ৮৭শতক জমির কিছু অংশ নদীর গর্ভে তলিয়ে যায় কিছু আছে সেখানে ফসলী জমি হিসাবে ব্যবহিত । বালু ব্যবসায়ীরা  ইজারা নেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সেখান  ড্রেজিং ও ট্রাক্টর দিয়ে বালু পরিবহন করে চলেছে। ট্রাক্টর চলাচলের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলী জমি।

তাছাড়া উপজেলার পাড়সোমবাড়ী বাজার খেয়া ঘাটে কোটি টাকা ব্যয়ে ছোট যমুনা নদীর উপর নির্মানাধীন মুক্তিযোদ্ধা সেতু ও গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। বিধি মোতাবেক ব্রীজ থেকে ১কিঃমিঃ দুরথেকে বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও বালু ব্যবসায়ীরা সেখানেও কোন কিছুকেই গুরুত্ব না দিয়ে উক্ত সেতুটির  খুটির ৫-৬ শত গজ দক্ষিন দিক দুর থেকে ড্রেজিং করে উত্তোলন করছে বালু। এছাড়াও ড্রেজিং এর সাহায্যে উত্তোলিত বালু ফসলি জমির নিচেই গর্ত করে সেখানে ভরাট করছে ও জমির পাশ দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা বাহির করে ট্রাকে করে অবাধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

গত বছর এই অপরাধে এখানে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার  ভ্রামম্যান আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিলেও এবছর আবার ও এখানকার বালু ব্যবসায়ীদের ড্র্রেজিং করে বালু উত্তোলন করেই চলছে।

এ বিষয়ে বেগুন জোয়ার গ্রামের সানাউল হক,ওয়াজেদ আলী, কৃষক রানা, শরিফুল ইসলাম সহ অনেকে বলেন যেভাবে বালু উত্তোলন করছে তাতে বর্ষা মৌসুমে এ নব নির্মানাধীন মুক্তিযোদ্ধা সেতু ও এ এলাকার মাঠের শতশত বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। নিষেধ করলেও কোন কর্ণপাত করেনা বালু ব্যবসায়ীরা। আমরা কৃষকরা বহুবার নিষেধ করেছি ফসলি জমির নিচে হতে বালু না তুলতে। কিন্তু তারা কোন কথাই শুনছেনা। ঐ এলাকার কৃর্ষক সাধারন মানুষ  উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে  নির্মানকৃত নতুন ব্রীজটি ও এলাকার শতশত বিঘা ফসলী জমি রক্ষা করতে সু-দৃষ্টি দেওয়ার জন্য।

এবিষয়ে বালু ব্যবসায়ী শিখর বলেন বলেন আমরা ৩০ লাখ টাকায় ডেকে নিয়ে বালু উত্তোলন করছি আমরা অন্যায় কিছু করিনি। বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম আলী বেগ বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পর বালু উত্তোলন কারিদের নিষেদ করা হয়েছে ড্রেজিং করে বালু না তোলার জন্য এর পর ও অন্যায় কিছু করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক(ভারপাপ্ত) মোঃ মাহাবুর রহমান বলেন অভিযোগ এখনো আমার কাছে পৌছেনি তবে অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিএন/হাফিজার রহমান/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ