আজকের শিরোনাম :

টাঙ্গাইলে এমপি রানার জামিন শুনানী নিয়ে উত্তেজনা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৪৪

টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানার জামিনের শুনানীকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল শহরে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে।

আজ ০৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে এমপি রানাকে টাঙ্গাইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের আদালতে হাজির করা হলে শহরে কোর্ট চত্তরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কোর্ট চত্বর ঘিরে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক এর সমর্থরা রানা এমপির শাস্তির দাবীতের মিছিল করতে থাকে। অপরদিকে এমপি রানার সমর্থকরা কোট চত্তরের বাইরে শামছূল হক তোরণের সামনে জামিনের সমর্থনে মিছিল করতে থাকে।

পুলিশ বার বার মিছিলটিকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বললেও  মিছিল কারীরা তাদের অবস্থানে অনড় থাকে। এক পর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে পুলিশ ২ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে লাঠিচার্জ শুরু করে এবং ব্যাপক লাঠি চার্জ করে মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ এসময় কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।

এদিকে আজ ০৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে (১০.৩০মিনিট) মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে ১০.৪৫ মিনিটে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকসুদা খানমের আদালতে শুধু মাত্র জামিন শুনানি হয়। জামিন শুনানীর পর আজ বিকেল ৪টায় রায় ঘোষণার সময় ধার্য করা হয়। পরবর্তী শুনানীর দিন ২৭ সেপ্টেম্বর ধার্য্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

এবিএন/তারেক আহমেদ/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ