দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ

সারাদেশে কঠোর লকডাউনের কারণে দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রথম ধাপের লকডাউনের সময় লঞ্চ চলাচল বন্ধের পর আজ (বুধবার) ভোর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।

আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম। 

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের কারণে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার বন্ধ রাখতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, গত কয়েকদিনের পণ্যবাহী যানবাহনের চাপের কারণে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রয়েছে ফেরিপারের অপেক্ষায়। 

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ঘাট কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করে সব ট্রাক পার করে দেওয়া। কিন্তু ঘাট কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এখন ফেরিঘাটে আটকে রয়েছি। কতদিন আটকে থাকতে হয় সেটি দেখার বিষয়। 

রাজবাড়ী ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বেশ কিছু যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পণ্যবাহী পরিবহন কিভাবে নদী পার হবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা নেই। 

রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ী পারাপারের ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইউব্লিউটিসির) পাটুরিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুল রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে তবে অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ী পারাপারের জন্য দুটি ছোট ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে তাদের নৌরুট পারের ব্যবস্থা করা হবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, কঠোর লকডাউন পালনের জন্য সরকারের যে নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো বাস্তাবায়নের জন্য দৌলতদিয়া নদী বন্দর এলাকায় প্রশাসন কাজ করছে। বিনা প্রয়োজনে কেউ বাইরে গেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এবিএন/সাদিক/জসিম