আজকের শিরোনাম :

কলাপাড়ায় যুবলীগ নেতার হাতে গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১, ১৯:২৮

কলাপাড়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আসমা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধুকে মুগুর দিয়ে বেধরক পিটিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধু বর্তমানে কলাপাড়া হাসপাতালের শয্যায় অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে কাতরাচ্ছেন।

ঘটনার দিন বৃহষ্পতিবার সকালে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানোর পর পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে ওই নেতা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন দুই সন্তানের জননী নির্যাতনের স্বীকার আসমা বেগম। তিনি কান্না বিজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার দিন সকালে ধুলাসার ইউপির চরধুলাসার গ্রামে তার নিজ বাড়িতে মহিষের পাল ঢুকে বেশ কিছু কলাগাছ খেয়ে নষ্ট করে।

এসময় মহিষের মালিক ধুলাসার ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মাঈনুদ্দিন দালালের কাছে অভিযোগ করেন। এতে  সে ক্ষিপ্ত হয়। জেলে তরিকুল ইসলাম জানান, আমার স্ত্রী আসমাকে বাড়িতে রেখে নদীতে মাছ ধরতে গেলে বাড়িতে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালা-গাল দেয়। এক পর্যায় আসমা প্রতিবাদ করলে মহিষ বাধার খুটা মাটিতে পোতার মুগুর দিয়ে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়। আসমা জানায়, তার স্বামী নদীতে মাছ ধরতে গেলে প্রায়ই বাড়িতে একা পেয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন মাঈনুদ্দিন।

আসমার স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় আ’লীগ নেতা দাদন দালালের ছেলে মাঈনুদ্দিন’র ভয়ে এখনও তারা থানায় অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছেন না। শালিশের মাধ্যমে ফায়সালা করে নিতে চাপ দিচ্ছে ওই প্রভাবশালীরা। এব্যাপারে মাঈনুদ্দিন দালালে’র মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। মাঈনুদ্দিন’র বাবা দাদন দালাল বলেন, বিষয়টি সে লোক মুখে শুনেছেন, তিনি দেখেননি। মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, এবিষয়ে আমাদের কেউ জানায় নি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এবিএন/তুষার হালদার/জসিম/জুয়েল

এই বিভাগের আরো সংবাদ