আজকের শিরোনাম :

ফুলবাড়ীয়ার কৃষকদের স্বপ্ন গরম বাতাসে শেষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১০:১৪

মাঠে দুলছে বোরো ধানে সোনালী শীষ , কৃষকের চোখে  হাজারও স্বপ্ন।সেই স্বপ্নে আচমকা হানা দিয়েছে  কালবৈশাখীর গরম ঝড় হাওয়া । সেই গরম হাওয়া এক নিমিষেই  শেষ করে দিয়েছে  হাজার হাজার কৃষকের স্বপ্ন । যখন আগাম বোরো ধানের ফসলে  রূপালী রং ধারন করেছে কোথাও সবেমাত্র ধানের শীষ বেরোচ্ছে ঠিক সেই সময় আচমকা গরম বাতাস ও বৈশাখী ঝড় হাওয়ায়  বোরো ধানে ব্যাপক ক্ষতি দেখা দিয়েছে ।

ময়মনসিংহের  ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখোলা, বালিয়ান, কুশমাইল, পুটিজানা, বাকতা, কালাদহ, রাঙ্গামাটিয়া, রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী, গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে মাঠে বোরো ধানের বাম্পার সম্ভবনাময় ফসলে  গরম ঝড় হাওয়ায় মাঠের ধানের শীষগুলো সাদা হয়ে গেছে মাটিতে মিষে আছে ধান গাছ । আগাম জাত আটাশজাতের ধানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হতাশায় পড়েছে কৃষকেরা। রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামের এক কৃষক বলেন,  ‘জীবনেও আমি এমন গরম বাতাস দেখিনাই। সকালে উঠে দেখি খেতের ধান মরে গেছে। আমরা কী খেয়ে বাঁচব, আমাদের কোন উপায় নেই। ঋণ করে গৃহস্থি করেছি। এখন কি করে ঋণ দেব? কীভাবে সারা বছর স্ত্রী, সন্তানের ভরণপোষণ করব? ‘খেতের পর খেত নষ্ট হয়ে গেছে।’

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন ও মাহফুজ রশিদ বলেন, মার্চ মাসের ৩য় সপ্তাহ থেকে দিনের বেলার তাপমাত্রা ত্রা বেশী থাকে যার ফলে ধানের ফুল ফোটা পর্যায়ে চিটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।  এ সময় বোরো ধানের যে সকল জাত ফুল ফোটা পর্যায়ে আছে বা এখন ফুল ফুটছে বা সামনে ফুল ফুটবে সে সকল জমিতে পানি ধরে রেখে ধানের ফুল ফোটা পর্যায়ে হিট শক/ হিট ইনজুরি থেকে রক্ষার পরামর্শ দিচ্ছি।

 উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে,  ৫এপ্রিল আকস্মিকভাবে গরম বাতাস একটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ।আর এ দূর্যোগে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনে  উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে জরিপ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ২২০ হেক্টর জমির বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের জমিতে সার্বক্ষনিক পানি রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করার অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
 

এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ