আজকের শিরোনাম :

ক্ষুদেবিজ্ঞানী রাসেল ইকবালের বিদ্যুৎ উৎপাদন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৩৮

জামালপুরের মেলান্দহের রেখিরপাড়া গ্রামের রাসেল ইকবাল (৩৮) স্বল্প খরচে-পরিবেশ বান্ধব-লোডশেডিং ও জেনারেটর বিহীন বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে চমক সৃষ্টি করেছেন। রাসেলের উদ্ভাবন দেখার জন্য শত শত লোক ভীড় জমাচ্ছে।

টানা ৭ বছর গবেষণার পর চলতি বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি অর্থাৎ ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে তিনি সফলতা অর্জন করেন। বর্তমানে রাসেলের উৎপাদিত বিদ্যুৎ তাঁর নিজ বাসার ফ্যান-লাইট-টিভি-ফ্রিজ ব্যবহার করছেন। বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ প্রকল্পের নাম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বিদ্যুৎ। রাসেলের পিতার নাম মরহুম হাজী আফছার আলী মাস্টার। মাতার নাম খাদিজা বেগম।

পিতার সাথে সাংসারিক কলহের পর রাসেল ইকবাল সাইকেল মেকানিকের দোকান দেন। বলপেনের নিপ কেটে মটর তৈরী করে তাঁর নিজের ব্যবহারিক সাইকেলের চাকায় ফিটিং করেন। তা থেকে ঘর্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে রং-বেরংয়ের সিগনাল লাইট জ্বলতে থাকে। এরপর রাসেল বিদ্যুৎ উদ্ভাবনের চিন্তা করেন। ৫ বছর গবেষণার পর প্রথম লাইট জ্বালাতে সক্ষম হন। কিন্তু দু:সংবাদ হচ্ছে, সকালে রাসেলের উদ্ভাবনী সফলতা প্রত্যক্ষ করেন তাঁর পিতা। ওইদিন দুপুরে পিতা আফছার আলী মাস্টার মারা যান। 

রাসেলের উদ্ভাবনী ৪০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা থেকে ১০ টি বাতি ৬টি ফ্যানসহ আনুসাঙ্গিক কাজ চালাচ্ছেন। তিনি জানান-এই পরিমাণ বিদ্যুতের সাহায্যে ৪০ বাতি ৬ ফ্যান এবং ২ ঘোড়া মটর চলতে সক্ষম। এতে এক কালিন খরচ হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা। ১শ বছরের মধ্যে আর কোন খরচ হবে না।

এ উদ্ভাবনীতে জেনারেটরের বিকল্প ৬০ ভোল্টেজের ব্যাটারীর সাহায্যে শুধু সুইচ অন-অফ’র কাজ করছে। মজার বিষয় হচ্ছে, ব্যাটারী অটোচার্জ হয়ে টারবাইন (চাকা) ঘুরলেই উৎপাদিত বিদ্যুৎ সাপ্লাই হবে।

রাসেলের অনুভূতি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই স্বাধীন দেশে বাস করছি। তাই আমার উদ্ভাবনীর নাম দিয়েছি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বিদ্যুৎ। সারাবাংলায় এ বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিতে পারলে কোনদিন লোডশেডিং হবে না। খরচ হবে একশ’ বছরের জন্য ৭০ হাজার টাকা।  

এবিএন/মো. শাহ্ জামাল/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ