আজকের শিরোনাম :

প্রেমিকাকে বিয়ে করে বিপাকে প্রেমিক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:১৫

৭ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। অবশেষে প্রেমিকাকে বিয়ে করে বিপাকে পড়েছেন প্রেমিক। প্রেমিকার প্রভাবশালী বাবার মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রেমিক।

ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায়। প্রেমিকার বাবার করা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামি হয়ে বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রেমিক তারক সাহা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘাঘর বাজারের ব্যবসায়ী শংকর সাহার ভাগ্নে তারক সাহার সঙ্গে একই বাজারের ব্যবসায়ী স্বপন সাহার মেয়ে লোপা সাহার সাত বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

গত ১২ জুলাই তারক ও লোপা গোপালগঞ্জ খাটরা সার্বজনীন কালী মন্দিরে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ১৫ জুলাই গোপালগঞ্জ নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে এফিডেভিট করে প্রেমিক যুগল।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর লোপার বাবা স্বপন সাহা সম্প্রতি লোপাকে দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান।

লোপার বাবা স্বপন সাহা গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তারক সাহা ও তার তিন মামা এবং খালাতো ভাই পরিতোষ সাহাকে আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোটালীপাড়া থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি এফআইআর করে পুলিশ। এ মামলার পর তারক এবং তার আত্মীয়-স্বজন এলাকা ছেলে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে তারক সাহা বলেন, ‘আমার শ্বশুর স্বপন সাহা জোর করে আমার স্ত্রীকে আটকে রেখেছেন। তিনি আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। আমাকে ও আমার আত্মীয় স্বজনদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।’

তারকের মামা শংকর সাহা বলেন, ‘আমার ভাগ্নের বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলায়। সে আমার দোকানে কাজ করে। তার প্রেম ও বিয়ে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। স্বপন সাহা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছেন।

এ ব্যাপারে প্রেমিকার বাবা ও মামলার বাদী স্বপন সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কোটালীপাড়া সাহা সম্প্রদায়ের অভিভাবক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি যশোদা জীবন সাহা বলেন, ‘যে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক দুই ছেলে-মেয়ে একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে পুরোহিতের উপস্থিতিতে ছেলে মেয়েকে শাখা-সিঁদুর পরিয়ে দিলে বিবাহ হিসেবে গণ্য হয়। এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানোর ধর্মীয় কোনো বিধান নেই।’

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এবিএন/লিয়াকত হোসেন/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ