আজকের শিরোনাম :

ডোমারে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২১, ১৭:২০

স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননার প্রতিবাদে ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ডোমার প্রেস ক্লাব হলরুমে সাধারন মুক্তিযোদ্ধার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সমশের আলী। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, হাজী রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, মফিজুল হক প্রামানিক, প্রফুল্ল্য চন্দ্র রায়,আবুল কাসেম, হীরামোহন বর্মণ, আব্দুল মোতালেব, পমির উদ্দিনসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৭ মার্চ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে “ডোমারে স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান বর্জন” শিরোনামে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে শুধুমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী ও জসিয়ার রহমান এক সময় অনুষ্ঠানের মাঠ থেকে চলে যান। আর বাকী মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা দিবসের সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সাথে আমাদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৯ সালের ১০মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের কাছে মটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী পরাজয় বরন করেন। সেই নির্বাচনের পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধ নুরন্নবী উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। তিনি বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে তোফায়েল আহমেদকে রাজাকারের পূত্র দাবী করে সংবাদ প্রচার করায়। প্রকৃত পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের বাবা ছিলেন স্বাধীনতার পক্ষের একজন মানুষ।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননা করে। এতে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। মামলা নম্বর-১৩, তারিখ ২৮.০৫.৭৪ইং।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা আরো অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান মাত্র দুইজন মুক্তিযোদ্ধা স্থান ত্যাগ করে চলে যান। কিন্তু ওই সংবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাশাহিনা শবনম অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা অনুষ্ঠান বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছিল। আমরা সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা গত ২৯ মার্চ দুপুরে ওই মন্তব্যের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে তার কার্যালয়ে যাই। তিনি আমাদের তিন ঘন্টা অপেক্ষায় রেখে, পাশেই উন্নয়ন মেলায় ছিলেন। পরে আমাদের অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে আমাদের বলে, আমারা নাকি তোফায়েলের এজেন্ডা বাস্তাবায়ন করতে এসেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধাদের অপেক্ষায় রাখি নাই। আমি উন্নয়ন মেলায় ছিলাম।


এবিএন/আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ