আজকের শিরোনাম :

মাদারীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘর উত্তোলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৫৮

মাদারীপুরে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে একটি পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে ঘর উত্তলনের অভিযোগ উঠেছে, নুরুল ইসলাম ফকির ও আরজুবান বেগমসহ ৫জনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রামন্ধি এলাকায় ঘটে।

ভুক্তভুগির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে একটি পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে ঘর উত্তলনের অভিযোগ উঠেছে, নুরুল ইসলাম ফকির ও তার স্ত্রী আরজুবান বেগম, ছেলে ইয়ার হোসেন ও দিদার হোসেন এবং তার বিধবা মেয়ে এলিজা বেগম এর বিরুদ্ধে। গত ২৬আগস্ট সদর থানা থেকে আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ দেওয়া হলেও কোন বিধি নিষেধ মানছেন তারা।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ব্রামন্ধি এলাকায় প্রায় ১৩ বছর আগে ২০০৫ সালের ১১ই জুলাই সাব কবলা মুলে ২৪ শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন শাহাবুদ্দিন হাওলাদার। ওই জমির পাশের জমি ক্রয় করে বসবাস করছে নুরুল ইসলাম ফকির ও তার পরিবার। তবে পাশের জমির মালিক নুরুল ইসলাম ফকির দীর্ঘ ৬ বছর অতিবাহিত হবার পরে ২০১১ সালে মাদারীপুর আদালতে উক্ত জমির টাকা দাখিলের মামলা করেন।

টাকা দাখিলের মামলা আদালতে চলমান থাকা অবস্থায় কয়েক দফা জোর পূর্বক ঘর উত্তলনের চেষ্টা করে। এর পেরিপেক্ষিতে উক্ত জমির মালিক শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে আদালতে ১০৭ ধারায় মামলা দেন এত বিবাদী করা হয় নুরুল ইসলাম ফকির ও আরজুবান বেগমসহ ৫জনকে। কোন প্রকার মহামান্য আদালতের আইন অমান্য করিব না অঙ্গিকার দিয়ে আসে সকলই। ওই মামলায় আদালত উভয় পক্ষকে বিদ্যমান জমির ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।

এবিষয় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজন অফিসারের মাধ্যমে আদালতের একটি নোটিশ ২৬/০৮/১৮ ইং তারিখে উভয় পক্ষের কাছে দেওয়া হয়। নোটিশে উল্যেখ্য আছে নোটিশ পাওয়া সত্বেও কোন পক্ষ বিরোধপুর্ণ সম্পত্তিতে কোন প্রকার কার্যক্রম গ্রহন করেন যাহার দারা আইন শৃংখলা কোন রুপ বিঘœ ঘটে তাহলে দায়ী পক্ষদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ ক্রমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগকারী শাহাবুদ্দিন হালাদার বলেন, নুরুল ইসলাম ফকিরের স্ত্রী -ঘর নির্মাণ করতে বাধা-নিষেধ করলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন। এমনকি ওই সম্পত্তি নিয়ে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি করলে তিনি আমাকে নারী নির্যাতনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।

অভিযোগের বিষয়ে নুরুল ইসলাম ফকিরের স্ত্রী আরজুবান বলেন, এ জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আমরা ঘর নির্মাণ করবো। কারন আমরা উক্ত জমির জন্য আদালতে টাকা দাখিলের মামলা করেছি। ঘরে জায়গা কম থাকায় আমার মেয়েরে থাকার জন্য ছোট একটা ঘর উঠাইতেছি, এরপর আর ঘর উঠাবোনা।

মাদারীপুর সদর মডের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান এর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমারা অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এবিএন/সাব্বির হোসাইন আজিজ/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ