আজকের শিরোনাম :

কমলগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শুমারী-২০১৮ প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:২১

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সনদ সহজীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশে এই প্রথম পাইলট প্রোগ্রাম হিসাবে রোববার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অবহিতকরণ সভা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শুমারী-২০১৮-এর প্রশিক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও মণিপুরি ললিতকলা একাডেমীর সহযোগিতায় মাধবপুর ইউনিয়নের শিববাজারস্থ মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে অবহিতকরণ ও প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: তোফায়েল ইসলাম।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মণিপুরি ললিতকলা একাডেমীর পরিচালক (অতিরিক্ত) মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব সুভাশীষ সিনহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপ-সচিব আশফাকুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজকান্ত সিংহ, গবেষক-লেখক আহমেদ সিরাজ, বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের কো-চেয়ারম্যান জিডিসন প্রধান সুচিয়াং, মুসলিম মণিপুরি নেতা প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল মতিন, মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ, লোকেন্দ্র সিংহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমলাকান্ত সিংহ, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশে এই প্রথম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শুমারীর পাইলট প্রোগ্রামের উদ্যোগ সম্পর্কে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সভার সভাপতি কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সনদ গ্রহনে সময় ক্ষেপনসহ নানা জটিলতার কারণে শুমারী করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করে রাখলে  ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যে কোন সদস্য সহজেই তার সনদ গ্রহন করে প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারবে। তাছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সঠিক তথ্য সংগৃহীত থাকবে। এ লক্ষ্যেই এই শুমারী হচ্ছে। আর এটি একটি পাইলট প্রোগ্রাম। পরবর্তীতে এভাবে সারা দেশেও করা হতে পারে। 

প্রধান অতিথি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: তোফায়েল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশফাকুর রহমান চাকুরি ক্ষেত্রে ও উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সনদ সংগ্রহে সঠিক তথ্য সংগ্রহে অনেক সময় ক্ষেপণ হত। তাছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সনদ আবেদনকারীরা নানা সমস্যায় পড়তেন। এ অভিজ্ঞতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদন সহজীকরণের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। মৌলভীবাজার জেলায় নানা স¤প্রদায়ের ৬৫ হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। এর মাঝে কমলগঞ্জ উপজেলায় ৫০ হাজার হবে। এজন্য কমলগঞ্জ থেকে পাইলট প্রোগ্রাম গ্রহন করা হয়। পরবর্তীতে সারা দেশে এ শুমারী হবে বলে তারা জানান।
 

এবিএন/ প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ