আজকের শিরোনাম :

পাটগ্রামে মাওলানা কাজীর বিরুদ্ধে জাল সনদ তৈরী ও প্রতারণার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২১, ১২:০১

লালমনিরহাট মুফাসসির পরিষদের সভাপতি ও পাটগ্রামের বুড়িমারী দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা কাজী ইউনুছ আলীর বিরুদ্ধে এবার প্রতারনার অভিযোগ তুলেছেন শাহাদাত হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

শাহাদাত নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তাকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময় ভুয়া দাখিল ও আলিম পাশের সনদপত্র সংগ্রহ করে দেয় কাজী ইউনুছ।

ওই মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ২ লক্ষ টাকা নিলেও নিয়োগ দেয়নি কাজী ইউনুছ।

অভিযোগকারী শাহাদাত হোসেন ওই উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালাংগি এলাকার আকবর আলীর পূত্র বলে জানা গেছে। এর আগে ওই সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা কাজী ইউনুছ আলীর নারী কেলেঙ্কারীর একটি অডিও ফাঁস হয়।

অভিযোগকারী শাহাদাত হোসেন জানান, মাওলানা কাজী ইউনুছ ২০০৬ সালে তাকে বুড়িমারী দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার প্রক্সি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

২০১২ সালে ওই মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখায় সহকারী মৌলভি পদে নিয়োগের জন্য ৩০ হাজার টাকার বিনিময় প্রথমে দাখিল ও আলিম পাশের জাল সনদ তৈরী করে দেয়। পরে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে তার কছে থেকে ২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন সুপারিটেনডেন্ট কাজী ইউনুছ। ২০১৯ সাথে উক্ত মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত হলে শিক্ষক তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়ে।

পরে চাকুরী বাবদ তার দেয়া ২ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে আজকাল করে গত তিন বছরেও টাকা ফেরত দেয়নি কাজী ইউনুছ।

শাহাদাত হোসেনের অভিযোগ, মাওলানা কাজী ইউনুছ বিভিন্ন জনকে টাকার বিনিময় ভুয়া সনদপত্র ও নিবন্ধন পত্র দিয়ে থাকেন। কাজী ইউনুছের শিক্ষক নিবন্ধনের পত্রটিও ভুয়া বলে দাবি করেন শাহাদাত হোসেন।
শ্রীরামপুর এলাকার সহিদার রহমানের পূত্র মোকছেদুল ইসলাম নামে অপর এক ব্যক্তি জানান, তিনি কাজী ইউনুছের সাথে বুড়িমারী দাখিল মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। ওই মাদ্রাসায় ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সহকারী মৌলভি হিসেবে কর্মরত থাকলেও মোটা অংকের বিনিময়ে তার অগচরে অন্য একজনকে তার পদে নিয়োগ দেয় কাজী ইউনুছ। তিনি আরও জানান, মূলত শিক্ষকতার আড়ালে ভুয়া সনদ ও নিবন্ধনপত্র তৈরী কাজী ইউনুছের প্রধান কাজ।

এ প্রসঙ্গে বুড়িমারী দাখিল মাদ্রাসার সুপারিটেনডেন্ট মাওলানা কাজী ইউনুছের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ওই মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রধান জানান, লোকমুখে নানা কথা শুনলেও তিনি এখন পর্যন্ত সুপারিটেনডেন্টের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ