জলঢাকায় ব্রিজের উপর গর্ত হওয়ায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২১, ১৬:৫৮
নীলফামারীর জলঢাকায় ব্রীজে গর্ত হওয়ায় মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঘটনাটি উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বালাগ্রাম ৮ নং ওয়ার্ডের পাটোয়ারী পাড়া ফজলা মেম্বারের বাড়ির কাছে ক্যানেলের উপর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রীজের মাঝে ও পাশে ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের ।
জানা গেছে, উক্ত এলাকার ৪ গ্রামের মানুষের জলঢাকার সহ বিভিন্ন এলাকার সাথে যোগাযোগও চলাচলের একমাত্র ভরসা এ-ই সড়ক। আর এ-ই সড়কে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ ক্যানেলের উপর রয়েছে একটি ব্রীজ। আর এ-ই ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীর। কিন্তু ক্যানেলের উপর ব্রীজে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর ।
এ সড়কের ক্যানেলের উপর ৪০ বছর আগে ১৯৮১ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ৪০ বছর আগে নির্মিত ব্রীজটি গত ৩ বছর আগ ব্রিজটির মাঝখানে বড় গর্ত ও পাশের রেলিং ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। মাঝে মাঝে রাতে সেতুতে দুঘর্টনা ঘটে। বেশি দুঘর্টনায় পড়েন মোটরসাইকেল চালকরা। ব্রিজটি দিয়ে ভ্যান, ইজিবাইক চলাচলের জন্য বাড়ি থেকে তক্তা, কাট এনে পেতে পাড় হতে হয়। ব্রীজটির দ্রুত মেরামতের ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেও কোন কাজের কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
গতকাল রবিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ব্রিজটির মাঝখানে ও রেলিং এ-র পাশে বড় বড় গর্ত। গর্তের উপর বাঁশের খুঁটিতে একটি লাল নিশানা টানানো হয়েছে ও ব্রিজটির পাশের রেলিংও ভাঙা হওয়ার কারনে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে
বালাগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিপন জানান, কাচা সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশত মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু অনেকদিন ধরে ব্রিজটির মাঝখানে গর্ত হয়ে রয়েছে। উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ব্রিজটির সংস্কার করার কথা থাকলেও কাজ শুরু হচ্ছে না। চলাচল নির্বিগ্ন করতে ব্রীজটির দ্রুত কাজ করা প্রয়োজন।
উপজেলর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা বলেন, ব্রিজটির বেহাল অবস্থার কথা শুনেছি। তবে সংস্কারের বিষয়ে অফিসের পদক্ষেপের কথা জানি না। খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারবো।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত এ ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এবিএন/হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী/জসিম/তোহা
এবিএন/হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ