লালমনিরহাটে বাবার সাথে অভিমানে মেয়ের আত্নহত্যা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:২৫
বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় অভিমান করে মরিয়ম বেগম(২৩) নামে এক গৃহবধূ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্নহত্যা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার বাস টার্মিনাল এলাকায় বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সিরাজগঞ্জ এলাকায় মরিয়মের মৃত্যু হয়। নিহত মরিয়ম ওই এলাকার জহুরুল ইসলামের মেয়ে এবং হাতীবান্ধা উপজেলার ভোটমারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী এক সন্তানের জননী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রথম স্ত্রী থাকার পরেও দ্বিতীয় বিয়ে করেন পাটগ্রাম বাস টার্মিনাল এলাকার জহুরুল ইসলাম। এ কারনে অভিমান করে প্রথম স্ত্রী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ি চলে আসেন মরিয়ম বেগম। দ্বিতীয় বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে বাবা মেয়ের মাঝে বিতর্ক সৃষ্ঠি হলে বাবার সাথে অভিমান করে ঘরে ঢুকে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন মরিয়ম বেগম। বুঝতে পেয়ে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন বাবা জহুরুল ইসলাম।
প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে দগ্ধ বাবা মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে রাতেই আশংকাজনক অবস্থায় মরিয়মকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় অভিমানে মেয়েটা এমনটা করেছেন। বাবা মেয়ে দু'জনে দগ্ধ হয়েছেন। মেয়েটির শরীরের অধিকাংশই পুড়েছে। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/তোহা
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সিরাজগঞ্জ এলাকায় মরিয়মের মৃত্যু হয়। নিহত মরিয়ম ওই এলাকার জহুরুল ইসলামের মেয়ে এবং হাতীবান্ধা উপজেলার ভোটমারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী এক সন্তানের জননী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রথম স্ত্রী থাকার পরেও দ্বিতীয় বিয়ে করেন পাটগ্রাম বাস টার্মিনাল এলাকার জহুরুল ইসলাম। এ কারনে অভিমান করে প্রথম স্ত্রী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ি চলে আসেন মরিয়ম বেগম। দ্বিতীয় বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে বাবা মেয়ের মাঝে বিতর্ক সৃষ্ঠি হলে বাবার সাথে অভিমান করে ঘরে ঢুকে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন মরিয়ম বেগম। বুঝতে পেয়ে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন বাবা জহুরুল ইসলাম।
এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ