আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরে তিন বছরে গ্রাম আদালতে আদায় হয়েছে সাত কোটি টাকা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:০৭

ফরিদপুর জেলার ছয়টি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নে ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৭৮০টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এ সময়কালে ছয় কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৮৯১ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে অবৈধ দখলে থাকা ২০ একর জমি।

ফরিদপুরে ‘গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বুধবার সকাল সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় জানানো হয় ফরিদপুরের ছয়টি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে উল্লেখিত সময়কালে ফরিদপুর সদরে এক হাজার ৯১০টি, সদরপুরে এ হাজার ১৩১টি, ভাঙ্গায় ৮৬২টি, বোয়ালমারীতে ৭২৭টি, আলপাডাঙ্গায় ৭২০টি এবং চরভদ্রাসনে ৪৩০টিসহ মোট পাঁচ হাজার ৭৮০টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে চার হাজার ৮৯৪টি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদকে আত্ম নির্ভরশীল হতে হবে। নিজেদের আয়ে নিজেদের চলতে হবে। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এলাকাবাসীর আশা আকাংখার মূর্ত প্রতিক হতে পারলে ইউনিয়ন পরিষদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ সুগম হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মনিরুজ্জামান। আলোচনায় অংশ নেন অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ বারী, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের জেরা ফ্যাসিলেটর আমিনুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসউদা হোসেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. হযরত আলী, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী আহসান, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক শেখ আকরামুল হক, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি পান্না বালা, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট্রের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোশ্বামী, রাসিনের নির্বাহী পরিচালক আসমা আক্তার, শাপলা মহিলা সংস্থার প্রশান্ত সাহা প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের রাজনীতি মুক্ত তেকে নির্মোহ থেকে বাদী ও প্রতিবাদীর সাথে আলাপ করে বিরোধ নিস্পত্তি করতে হবে। চেয়ারম্যান এলাকার সকলের এই মনোভাব নিয়ে রাগ কিংবা বিরাগের উর্ধ্বে উঠে বিচারকাজ পরিচালনা করতে হবে। তবেই তিনি ইউনিয়নের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যাক্তি হয়ে উঠবেন।

সভায় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে উপকার পাওয়া ফরিদপুর সদরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের খলিল মন্ডলের হাট এলাকার আকলিমা বেগম (৪২) তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তিনি এক ব্যক্তিকে ৬০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ব্যাক্তি সে টাকা পরিশোধ করতে গরিমসি করায় তিনি গ্রাম আদালতের স্মরণাপন্ন হয়ে টাকাটি আদায় করতে সক্ষম হন।

এবিএন/কে এম রুবে/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ