পটিয়ায় করাতকলে পাহাড়ি অবৈধ কাঠ মওজুদ, নীরব বনবিভাগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৩৯
চট্টগ্রামের পটিয়া ৪৫/৫০ টি করাতকলের পাহাড়ি অবৈধ কাঠ মওজুদ করেছে সংশ্লিষ্ট করাতকলের মালিকরা।এসব বিষয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তা কোনধরণের অভিযান নেই বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা য়ায়, পটিয়ার কমল মুন্সি হাট সংলগ্ন এলাকায় তিনটি করাতকলের অবৈধ সেগুন, মেহগনি, ঘামারীসহ বিভিন্ন প্রজাতীর পাহাড়ি অবৈধ কাঠ মওজুদ রয়েছে।
করাতকলের পাশে ফার্নিচার দোকান রয়েছে ১০ টি। এসব কাঠ দিয়ে ফার্নিচার বানিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করছে। এতে করে সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে বনবিভাগ'কে মাসোহারা দিয়ে অবৈধ পাহাড়ি কাঠ মওজুদ ও ফার্নিচার বানিয়ে বিক্রি করার। এছাড়াও দরগা গেইট, অলির হাট, দক্ষিণ ভুর্ষি, আনজুর হাট,হুলাইন,মনসার টেক,তালতলাচৌকী, ফইল্লাতলী, রোশনহাট, জিরি পাথুরিয়া, ধলঘাট, হাইদগাও, কেলিশহর,খরনা,কালিয়াইশের নয়হাট এলাকায় করাতকল গুলোতে অবৈধ পাহাড়ি কাট মওজুদ করেছে কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেট সদস্যরা।এসব দেখেও না দেখার ভান ধরেছে বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
তবে পটিয়া বনবিভাগের এক কর্মকর্তার দাবি পাহাড়ে পটিয়া পুর্বঅঞল পাহাড় সরকারি কোন সৃজিত কাঠের বাগান নেই। তাছাড়া এসব করাতকলের লাইসেন্স নেই অধিকাংশ করাতকলের। এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের চাড়পএ ছাড়াই করাতকল পরিচালনা করছে অনেকে বলে দাবি করছেন স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। বিষয়টি উর্ধতন বনবিভাগের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানান সচেতন মহল।
এবিএন/সেলিম চৌধুরী/জসিম/জুয়েল
এই বিভাগের আরো সংবাদ