আজকের শিরোনাম :

মুন্সীগঞ্জে মাদ্রাসাশিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০১৮, ১২:২৩

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় মো. আওলাদ হোসেন (৫৫) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার এক চাচাত ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার আজিমপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আওলাদ আজিমপুরা এলাকার মৃত আবদুর গফুর শেখের ছেলে। তিনি চুরাইন আনোয়ারুল উলম রহমানিয়া মাদ্রাসার কিরাত বিভাগের শিক্ষক। পাশাপাশি তিনি একটি ওষুধের দোকান চালাতেন।


আওলাদের লাশটি রাতেই বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার ভোরে আওলাদের চাচাতো ভাই তাইজুল শেখকে (৪৫) আটক করে পুলিশ।

নিহতের স্ত্রী সাহিদা বেগম জানান, মঙ্গলবার রাতের খাওয়া শেষ করে ব্যবসার হিসাব নিকাশ নিয়ে কাজ করছিলেন আওলাদ হোসেন। এমন সময় রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী তাইজুল মোবাইলে কল করে তাকে বাসা থেকে বের হওয়ার কথা বলে। এরপর তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও তিনি বাসায় ফেরেননি এবং তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। বাসা থেকে বের হয়ে খুোঁজাখুঁজি করতে তাইজুলের বাসায় গিয়ে দেখা যায় বাড়ির পাশের পুকুরের ঘাটে সে রক্ত পরিষ্কার করছিল। এছাড়া টেনে পুকুর ঘাটে কাউকে নিয়ে যাওয়ার রক্তের চিহ্ন দেখা যায়। দূর থেকে তাকে আওলাদ হোসেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে জানে না বলে জানায়। এরপর বাড়ির আশেপাশের আতœীয় স্বজনদের মোবাইলের মাধ্যমে ডেকে আনলে তারা তাইজুলকে ধরে ফেরে এবং পুকুরের ঘাটে কচুরিপানার ভেতরে আওলাদের মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।

সাহিদা বেগম আরও বলেন, তাইজুল আমার স্বামীর ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতি এবং চারদিকে সুনামের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। বাড়িতে ডেকে এনে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। পুলিশ তাকে ভোরের দিকে আটক করে নিয়ে গেছে।

হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জিল্লুর রহমান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাইজুলকে আটক করা হয়েছে। ঘরের আলমারি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ