আজকের শিরোনাম :

পাইকগাছায় গৃহবধুর মৃত্যুতে আটক দুই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০১৮, ২১:০৫

খুলনার পাইকগাছার গদাইপুরের হিতামপুর গ্রামে সোনালী নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের দাবি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এদিকে থানা পুলিশ মৃতের স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ ২৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকালে জেলার পাইকগাছার গদাইপুর ইউপির হিতামপুর গ্রামের রবীন বিশ্বাসের স্ত্রী সোনালী বিশ্বাস (১৯) নিজ বসত ঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে দুপুর ১২টার দিকে পরিবারের লোকজন সোনালীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে মৃতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

মৃত সোনালীর মা কাঁদতে কাঁদতে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তার মেয়ের সাথে সর্বশেষ গত সোমবার রাতে কথা হয়েছে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মেয়ের সাথে কোন কথা হয়নি। বেলা ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুড়বাড়ির গ্রামের লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে জানতে পারেন তাদের মেয়ে মারা গেছে। মেয়ের মৃত্যের খবর শ্বশুড়বাড়ির কেউ দেয়নি।

তিনি জানান, মেয়ের মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। তাকে পিটিয়ে হত্য করেছে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বলে অভিযোগ করেছেন। এদিকে আত্মহত্যার এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনকভাবে মৃতের স্বামী রবীন বিশ্বাস ও শ্বশুর বাবু লাল বিশ্বাসকে আটক করেছে।

এস.আই শহিদ জানান, প্রাথমিকভাবে মৃতের স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।

থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবুল বাশার জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।

উল্লে¬খ্য, জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আইতলা গ্রামের নিতাই বিশ্বাসের মেয়ে খুলনা বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী সোনালীর সাথে প্রায় ৪ বছর ধরে রবিন বিশ্বাসের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এমনকি তিন বছর পুর্বে তারা উভয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে।

বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৫ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় বিধান মতে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর সোনালীর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন এই বিয়েটাকে ভালোভাবে মেনে নেয়নি বলে মৃতের কাকাতো ভাই দুলাল বিশ্বাস জানিয়েছেন। বিভিন্ন সময় মানসিকভাবে নানান চাপ দেওয়া হতো বলেও সোনালীর বাপের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন। এখন ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে; এটি হত্যা না আত্মহত্যা।

এবিএন/তৃপ্তি রঞ্জন সেন/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ