সালথায় ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:১৪ | আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:২১

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের নঁওপাড়া ও হোড়েরকান্দি চান্দাখোলা গ্রামের ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে আজ শুক্রবার (১৯ ফ্রেরুয়ারী) সকালে স্থানীয় কয়েকশত কৃষক ও জমির মালিকগন মানববন্ধন করেছে।

জানা যায়, হোড়েরকান্দি চান্দাখোলা গ্রামের পাশে সামান্য হালট রয়েছে যা দিয়ে মাঠে উৎপাদিত ফসল আনা নেওয়া করে চাষীরা। হালটের দুই পাশে নেই কোন বসতবাড়ি, রয়েছে শুধু হাজার হাজার একর উরর্ব ফসলি জমি, ওই ফসলি জমির পাশে যে সরকারী হালট রয়েছে তা রাস্তার তিন ভাগের একভাগ হালটেই তৈরি করা যায়। বাকি রাস্তা করতে হলে মালিকানা ফসলি জমির উপর দিয়ে করতে হবে।  যেখানে বিঘা প্রতি একশত মন থেকে ২ শত মন পিয়াজ এবং ২০ থেকে ২৫ মন পাট উৎপাদন হয়। কৃষকদের জীবিকা নির্বাহ করার একমাত্র ফসলি জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মান হবে এমন কথা শুনে তারা হতবাক।

তারা দাবি করেছেন, নঁওপাড়া গ্রামে যেতে সরকার কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে পাকা রাস্তা করে দিয়েছে। যা ওই গ্রামের মাত্র ছয়শত বাসিন্দাদের  শত বছরের কষ্ট লাঘব হয়েছে। এখন আবার ফসলি জমি নষ্ট করে একটি মাত্র পরিবারের সুবিধার জন্য কেন এই রাস্তা? প্রকল্প দৃষ্টে দেখা, ফরিদপুর-২ আসনের এমপি বাংলাদেশ সংসদের মাননীয় সংসদ উপনেতা মহোদয়ের বিশেষ ক্ষমতা বলে ২০২০-২১ অর্থ বছরের কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দে হোড়ের কান্দি চান্দাখোলা হালট থেকে নঁওপাড়া আলী মাতুব্বরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মানে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের দাবি যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে যার কোন প্রয়োজন নেই।

তাদের দাবি দেশের স্বার্থে বা জনস্বার্থে সরকার উন্নয়ন করে কিন্তু এই রাস্তা তৈরি হলে ফসলি জমি নষ্ট হবে। তাতে করে স্থানীয় অনেক কৃষক ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তারা মনে করছেন একটি পরিবারের স্বার্থে হাজার পরিবারের ক্ষতি হবে এটা তারা চান না। জানা গেছে, ওই প্রকল্প পিআইস আবুল হোসেন বাবুল সংসদ উপনেতার ঢাকার বাড়িতে থাকেন সেই সুবাধে প্রকল্পটি সুপারিশের মাধ্যমে পাশ করিয়েছেন। বাবুল ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই রাস্তা নির্মান করতে চাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মেম্বর সানোয়ার হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন, শহিদ মাষ্টার, ইউনুস সর্দ্দাও, কালাম শেখ, শাহিদুজ্জামান, ওহিদুজ্জামান, ফারুক শেখ, লিয়াকত মেখ, দিদার শেখ, সাদ্দাম শেখ, হাফিজ মাতুব্বর, মন্টু শেখ, ছামাদ মোল্যা, বেলায়েত শেখ, ফিরোজ সর্দ্দার,আনিচুর রহমানসহ শতাধিক কৃষক।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন,  প্রকল্পটি যদি জনস্বার্থে না হয়, সেই ক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষকরা যদি অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে প্রকল্প বাতিলের সুপারিশ করবো সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষকে।

এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/জুয়েল

এই বিভাগের আরো সংবাদ