আজকের শিরোনাম :

নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ নিহত ১৪

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০১৮, ১৮:২৮ | আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০১৮, ২০:১৪

ঢাকা, ২৫ আগস্ট, এবিনিউজ : নাটোরের লালপুরে যাত্রীবাহী বাস-লেগুনার সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চলছে।

আজ ২৫ আগস্ট (শনিবার) বিকেল ৪টার দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে উপজেলার সিমান্ত লালপুরের কদিমচিলান কিলিক মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে লেগুনাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাস পাবনা থেকে বগুড়া যাচ্ছিল। লেগুনাটি একটি বাসওভারটেক করার সময় চ্যালেঞ্জার বাসের মুখোমুখি হলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রশাসন উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে। আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিএম শামসুন নুর ঘটনাস্থল থেকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের সবাই লেগুনার যাত্রী ছিলেন।

ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও এডিএম রেজাজ্জাকুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আবুল হাসনাত ও বিআরটিএ নাটোরের সহকারী পরিচালক আশরাফুজ্জামান।

হাইওয়ে থানার এসআই তরিকুল ইসলাম ও নাটোর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, পাবনা থেকে বগুড়ামুখি চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাস কদিমচিলান এলাকায় বিপরিতমুখি একটি লেগুনাকে সামনে থেকে চাপা দেয়।

এতে লেগুনার সকল যাত্রী ছিটকে পড়লে চাপা পড়ে ২ শিশু, ৬ নারীসহ ১৩ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে বাসের অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হয়।

আহতদের মধ্যে ২ জনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বনপাড়ার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

লেগুনায় নিহত যাত্রীরা হলেন- উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের রাপচাঁদ প্রামাণিকের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪৫), তাহের উদ্দিনের স্ত্রী রজুফা বেগম (৩৫), জামাইদিঘা গ্রামের নওফেল হোসেনের স্ত্রী লাগেনা বিবি (৫৫), মালিপাড়া গ্রামের লেগুনা চালক আব্দুর রহিম (৩০), রাজশাহীর চারঘাট থানার মীরকামারি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে শাপলা খাতুন (২০), টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা সদরের রোকনুজ্জামান (৫৫)।

পাবনার ঈশ্বরদি থানার মুলাডুলি গ্রামের মন্টু বিশ্বাসের স্ত্রী আদরী বেগম (৩৫), তার ছেলে  প্রত্যয় বিশ্বাস (১২) ও মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস (১৫)।

বাকিদের পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।

এবিএন/আশরাফুল ইসলাম/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ