আজকের শিরোনাম :

জলঢাকায় মহিলা হাফেজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসায় কম্বল বিতরণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:১৩

নীলফামারীর জলঢাকা হিমালয়ের কাছে হওয়ায়  গত কয়েক দিন ধরে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করছে। হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জনজীবন। হিম হিম ঠান্ডাবাতাস আর ঘন কুয়াশায় বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষগুলো ভিশন কষ্টে আছে। রাত যতই গভীর হচ্ছে, বাড়ছে ঠান্ডা শীত। শীতে  যবুথবু  সবাই। তবুও থেমে নেই নীলফামারীর  জলঢাকা উপজেলা প্রশাসন।

তাই এই শীতার্ত  মানুষের পাশে দাড়াতে এগিয়ে এসেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান নয়ন।

তিনি সোমবার মধ্য রাতে পৌর শহরের মধ্য কাজির হাট মহিলা হাফেজিয়া ও এতিমখানা  মাদ্রাসায় গিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে শীত নিবারনের জন্য কম্বল তুলে দেন। এই শীতে কম্বল  পেয়ে শীতার্ত  শিশুদের মুখে  আনন্দের হাসি ফুটে উঠে।

এদিকে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগের বেড়েছে প্রকোপ।

অপরদিকে ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের আলুক্ষেত ও ইরি-বোরো ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজি। উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষগুলো উত্তাপ পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থ চেষ্টা করছে।

 শুধু উত্তরের নীলফামারীর জলঢাকায় শীতের কারণে নয়, সঙ্গে ঘন কুয়াশা থাকায় দিনের তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে বলে আবহাওয়া অফিস  সুত্র জানাযায় । এ কারণে শীত অনুভব হচ্ছে অনেক বেশি। এ অবস্থা আরও ৩-৪ দিন বিরাজ করতে পারে।

কৈমারী ইউনিয়ন গাবরোলের কৃষক আব্দুল  সোবান বলেন, বোরো ধান রোপণের জন্য জমি ঠিক করছেন। সকালে জৈব সার দিতে বের হয়ে ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না।

শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, এই শীতে শিশুদের সকালে আর রাতে বাহিরে বের না করাই ভালো। তবে জরুরি প্রয়োজনে বাহিরে গেলে অবশ্যই ভালোভাবে গরম কাপড়ে ঢেকে নিতে হবে। এ সময় ঠান্ডা লাগলে সর্দি-কাশি ছাড়াও শিশুর নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া হতে পারে।    এছাড়া শীতের সময় শিশুদের বাসি খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকাসহ নবজাতকদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।।

এবিএন/হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ