সম্মতি না নিয়ে অন্যত্র বিয়ে, সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন স্ত্রীর
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:১৮
যশোরের ঝিকরগাছায় স্ত্রীর সম্মতি না নিয়ে অন্যত্র বিয়ের অভিযোগ উঠেছে পোস্ট অফিসের এক পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। শুধু বিয়েই নয়, বিয়ের পর স্ত্রী আর দুই সন্তানের খোঁজও নিচ্ছেন না ওই কর্মকর্তা। ফলে সন্তানদের নিয়ে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ভুক্তভোগী।
জানা গেছে, ঝিকরগাছা থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের আন্দালপোতা গ্রামের আবু কালামের ছেলে মো. শহীদুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে আমিনা খাতুনের ২০০২ সালে বিয়ে হয়। পদোন্নতি পেয়ে শহীদুল ইসলাম পাবনায় বদলি হয়ে গেলে সেখানকার উপজেলা পোস্ট অফিসারের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে তারা গোপনে বিয়ে করেন।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর চাপে পড়ে ওই উপজেলা পোস্ট মাস্টারকে ডিভোর্স দেন শহিদুল। তবে পরবর্তীতে আবারও তারা মেলামেশা শুরু করে। তবে এতে বাধা দেয়ায় আমিনা খাতুনকে মারধর করে শহীদুল। এমনকি তার দুই সন্তানের সাথেও খারাপ আচরণ করেন শহীদুল ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আমেনা খাতুন জানান, আমার স্বামী কাউকে না জানিয়েই অন্য জায়গায় বিয়ে করে। গত তিন মাস যাবৎ শহীদুল আমাদের কোনো খোঁজ নেয় না। আমাদের কোনো টাকা দেয় না। এমনকি বাড়িতেও আসে না। আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বর্তমানে সন্তানদের চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি। তবে আমেনা সেটি গ্রহণ করেনি। ডিভোর্সের সময় কাবিননামা বাবদ তাকে তিন লাখ টাকা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও টাকা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তার স্ত্রী।
শহীদুল ইসলাম আরো বলেন, আমেনা আমার নামে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। এতে আমার মানহানি হয়েছে। আমি এই ঘটনায় মামলা করবো।
এদিকে নিজের সাথে ঘটা অমানবিক ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এবং নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে যশোর জেলা প্রশাসক, ঝিকরগাছার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত দিয়েছেন আমেনা খাতুন।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/জসিম/তোহা
এবিএন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ