আজকের শিরোনাম :

বড়াইগ্রামে ইউপি সদস্যকে অপহরণ চেষ্টায় গ্রেফতার ৭

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০১৮, ১৩:১৮

বড়াইগ্রাম (নাটোর), ২৫ আগস্ট, এবিনিউজ : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ গ্রামে প্রকাশ্যে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেনকে (৫৩) অপহরণ চেষ্টার সময় হাতে নাতে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ ২৫ আগস্ট (শনিবার) সকালে আবুল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক ৭ জনসহ অজ্ঞাত নামাদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আহত আবুল হোসেনকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো- ধানাইদহ গ্রামের খলিল প্রামাণিকের ছেলে আনছার আলী, তার ছেলে জাহিদ হোসেন ও রফিক হোসেন, সহোদর মোজাহার আলী, ছলিমুদ্দিন শেখের ছেলে আলেক শেখ, শহিদুল ইসলামের ছেলে রাশেল হোসেন এবং মোজাফর হোসেনের ছেলে এমদাদুল হক।

নগর ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত রমজান মাসে আনছার আলীর দুটি মহিষ হারায়। সেই হারানো মহিষ চোর হিসাবে সন্দেহ করে নগর ইউপির সাবেক সদস্য আবুল হোসেনকে শুক্রবার সন্ধায় প্রকাশ্যে ধানাইদহ বাজার থেকে ধরে বেধরক মারপিট শুরু করে। পরে তাকে আনছার আলীর বাড়িতে নিয়ে ঘরে আটকে নির্যাতন চালায়। একই সাথে তার স্বীকারোক্তির জন্য চাপাতি ও ছুরি নিয়ে আসে আবুল হোসেনের হাত-পা কাটার জন্য।

এ অবস্থায় একদিকে চেয়ারম্যান ডালু থানায় অপরদিকে আবুল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে তাৎক্ষণিক বড়াইগ্রাম থানার এসআই হাবিব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে সেখান থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় আবুল হোসেনকে এবং সেখান থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন। এসময় ওই ঘরে থেকে ৭ জনকে হাতে নাতে আটক করা হয়।

আবুল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে যখন তারা আমার বাবাকে মারপিট করে গুম করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমার কাছে মনে হয়েছে ৯৯৯ নম্বর এ আমার সহযোগিতা পাবার একমাত্র স্থান। তাই সেখানে ফোন করা মাত্র পুলিশের সহযোগিতা পেয়েছি। এছাড়া স্থাণীয় ইউপি চেয়ারম্যানও আমাকে সহযোগিতা করেছেন।

বড়াইগ্রাম হাসপাতালের আবাশিক চিকিৎসক ডা. ডলি রাণী বলেন, আবুল হোসেনকে রাতে পুলিশ ভর্তি করেছেন। তার শরীরে অনেকট মারপিটের চিহ্ন রয়েছে। তবে তার অবস্থা শংকটাপূর্ণ নয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের পরে আটকৃত ৭ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সাথে আরও যারা জড়িত তাদেরকে আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।

এবিএন/আশরাফুল ইসলাম/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ