আজকের শিরোনাম :

বাউফলে বগা ফেরিঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:২৫

পটুয়াখালীর বাউফল-পটুয়াখালী সড়কের বগা ফেরি ঘাটে ইজারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। যানবাহন পারাপারে দ্বিগুনেরও বেশী টোল আদায়ে গাড়ী চালকদের মধ্যে অসন্তোশের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নিয়মিত যানবাহন থেকে টোল আদায়ে বগা ফেরি ঘাটে কোন সরকারি নিয়মনীতি মানা হচ্ছেনা। ইজারা আদায় কর্তৃপক্ষের দাবীকৃত ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন যানবাহনের চালকরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে রাজি না হলে ইজারাদারের নিয়োগকৃত লোকজনের হাতে প্রায়ই লাঞ্চিত হতে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যাহনবাহনের মালিক ও শ্রমিকদের। যে কারনে পরিবহন  শ্রমিকরা ইজারা কর্তৃপক্ষের লোকজনের হাতে জিম্মি হয়ে অতিরিক্ত টোল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ভারী পণ্যবাহী যানবাহন- ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে ১শত টাকার  স্থলে নেয়া হয় ২শত ৫০টাকা এবং যাত্রীবাহী মটরযানে ২০টাকার স্থলে ৪০টাকা। মোটর সাইকেল পারাপারে ৫টাকার ভাড়া ২০টাকা, অটো-রিস্কা ও থ্রি হুইলার গাড়ী থেকে নেওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ৩০টাকা। যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস ৪৫ টাকার স্থলে ১২৫ টাকা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুই এক্সেল বিশিষ্ট রিজিড ট্রাক/বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর/ট্রেইলর ৫০টাকার স্থলে ১০০টাকা রেটে আদায় করা হচ্ছে।

ট্রাক চালক সফিউল ইসলাম বুলেট জানান, বগা ঘাটের ইজারা কর্তপক্ষের দাবীকৃত টাকা না দিলেই হতে হয় লাঞ্চিত। তাদের ধার্য্যকৃত ভাড়া না দিলে গাড়ী আটকে ঝামেলা করে। এরুটে চলাচলকারী যানবাহন চালকরা এঘাটে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ঘাট শ্রমিকদের (ইজারা কর্তৃপক্ষের লোক) হাতে নাজেহাল হওয়া এড়াতেই তাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা  নেওয়ার কেউ নাই।

ইজাদার কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি মো: শাহীন বলেন, এবারে উচ্চ দরে (২কোটির ওপরে) ফেরীঘাটের ইজারা পায় পটুয়াখালীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ি শিবু লাল দাস। তার কাছ থেকে এপার ওপার মিলে সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে তারা ফেরীঘাট পরিচালনা করছেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে বলেন, দ্বিগুন-তিনগুণ নয়, তবে ক্ষেত্র বিশেষ কিছু বেশী টাকা আদায় করা হয়।

ফেরীঘাটের ইজারাদার শিবু লাল দাস বলেন, সরকারি নির্ধারিত রেটের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোন সুযোগ নেই। সরকারি রেট চার্ট দেয়া আছে, এর বাইরে আদায় করার খবর আমার জানা নেই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রশ্নে সওজ’র পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী মো: কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সদ্য ইজারা দেয়া হয়েছে, এমনটি হয়ে থাকলে অবশ্যই তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ