সুন্দরবনের অবৈধ ভাবে আহরিত হচ্ছে শিলা কাঁকড়া
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৫৮ | আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:০০
সুন্দরবনে নদী ও খালে শিকার নিষিদ্ধ র্নিবিচারে রপ্তানি পন্য শিলা কাঁকড়া আহরণ চলছে। সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় কতিপয় মহাজন ও দালালদের সহযোগিতায় জেলেরা এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও বিশ্ব বাজারে সুন্দরবনের ডিমওয়ালা শিলা কাকড়ার উচ্চমূল্য ও ব্যাপক চাহিদার কারণে অনেক জেলে সাদা মাছ আহরণের অনুমতি নিয়ে শিলা কাকড়া আহরণ করে চলেছে।
কাঁকড়া আহরন বন্ধে তেমন প্রচার না থাকায় জেলে ও শিকারীদের অতিলোভের কারণে প্রজননের ভরা মৌসুমে কাঁকড়া শিকারের ফলে এবার সুন্দরবন থেকে শিলা সহ অন্য সব প্রজাতির কাকড়ার বংশ বিস্তার হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশবিদরা। পশ্চিম সুন্দরবনের শ্যামনগর, কয়রা সহ আশেপাশের এলাকার বিপুল সংখ্যক বনজীবি সুন্দরবনে শিলা সহ বিভিন্ন প্রজাতির কাকড়া আহরণ করে জিবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এসব বনজীবী রাজস্ব দিয়ে বনবিভাগের কাছ থেকে বৈধ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে কাকড়া ধরেন।
তবে প্রতিবছর জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারি এই দুইমাস কাকড়ার ভরা প্রজনন মৌসুম হওয়ায় এ সময় বনবিভাগ কাকড়ার বংশ বিস্তারের জন্য আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তবে প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের নদ-নদীর শিলা কাঁকড়া গভীর সমুদ্র ও বড় নদীতে প্রজননের জন্য চলে যায়। যে কারণে সুন্দরবনে এ দুমাসে সারা বছরের চেয়ে বেশি করে শিলা কাকড়া পাাওয়া যায়। এ কারণে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেশি লাভের আশায় জেলেরা নদীতে শিলা কাকড়া আহরণ করতে যায়। তাছাড়াও টহলরত কিছু বন কর্মীদের সাথে তাদের চুক্তি থাকে।
যখন ঊর্ধতন বন কর্তারা সুন্দরবনে প্রবেশ করে তখন জেলেদের সংকেত দিলে জেলেরা গভীরবনের খালে লুকিয়ে পড়ে। এভাবে সুন্দরবনের শিলা সহ অন্য সব প্রজাতির কাকড়া ধরা অব্যহত রয়েছে। আবার অনেক জেলে পাশ পারমিট না করেই বন বিভাগকে ম্যানেজ করে বনে ঢুকে অবাধে শিলা কাকড়া ধরছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শ্যামনগরে কয়েকজন কাকড়া আড়তদার জানান, বর্তমানে ডিমওয়ালা শিলা কাকড়ার দাম বেশি। এসব কাকড়া ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টকা দরে বিক্রী হয়ে থাকে।
সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করেন একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বলেন, বনের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষার আমরা মোটেও আন্তরিক নই। সুন্দরবনের বৈচিত্র বাচাতে দ্রুত শিকার নিষিদ্ধ প্রজনন মৌসুমে সব ধরনের কাকড়া আহরণ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে সরকার ও বনাবভাগকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোঃ মহসীন বলেন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেউ সুন্দরবনে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, বন বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী আগের চেয়ে অনেক দায়িত্বশীল।এব্যাপারে কথা হয় সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ অপিসার এম,এ, হাসানের সাথে তিনি বলেন,আমার জানা মতে সুন্দরবনে কোন কাঁকড়া ধরারত জেলে নেই।
এবিএন/আলমগীর সিদ্দিকী/জসিম/জুয়েল
এই বিভাগের আরো সংবাদ