আজকের শিরোনাম :

সুনামগঞ্জে অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর খুললো শ্রমিকের কর্মক্ষেত্র

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:২০

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাগলী শুল্ক স্টেশনে কয়লা-চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকার পর অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর খুললো শ্রমিকের কর্মক্ষেত্র। বিষাদের দিন ভুলে দরিদ্রের সুদিন ফিরলো আবার। জানা যায়, গত রবিবার সকাল থেকে বাগলী কয়লা-চুনাপাথর শুল্ক স্টেশনে দীর্ঘদিন পর চুনাপাথর আমদানি শুরু হলো। উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী বাগলী শুল্ক স্টেশন থেকে নৌ ও ট্রলি যোগে মন্দিয়াতা গ্রাম সংলগ্ন পাটলাই নদীতে আসছে চুনাপাথর।

উপজেলা বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১৫হাজার শ্রমিকের কর্মক্ষেত্র মন্দিয়াতা গ্রাম সংলগ্ন পাটলাই নদী। দীর্ঘদিন এই কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকায় মানবেতর দিন কাটছিলো শ্রমিকদের। কেউবা স্ত্রী-সন্তানদেন অন্ন যোগান দিতে বিক্রি করেছেন ঘরের প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র, কেউবা ঋণখেলাপী হয়ে খেয়ে না খেয়ে সংসার চালিয়েছেন, কেউবা কাজের খোঁজে সপরিবারে পাড়ি জমিয়েছিলেন ঢাকা শহরে। তবে এতোকিছুর পরও তারা আশাহত হননি।

অবশেষে বহু প্রতিক্ষার পর ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙেছে পাথর শ্রমিকদের। ক্ষুধার যন্ত্রণা ভুলে হাসিমুখে ফিরেছেন আবার কর্মস্থলে। শ্রমিকের কর্মক্ষেত্রে এ যেন পাথর নয়, যেন নিকস আঁধারে আলোর ঝলক। বাগলী কয়লা-চুনাপাথর আমদানিকারক সমিতির সভাপতি জনাব খালেক মোশাররফ বলেন, করোনার কারণে কয়লা-চুনাপাথরের কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক শ্রমিক শহরমূখী হয়েছিলো কাজের খোঁজে। তবে এখন চুনাপাথরের কর্মস্থলে শ্রমিকদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

আমরা আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে কাজ চলমান থাকবে। কয়লা-চুনাপাথর আমদানিকারক সমিতির সর্দার কমিটির সভাপতি নূরুল হক বলেন, শ্রমিকদের দূর্ভোগের দিন এবার শেষ হয়েছে। কর্মক্ষেত্রও বেশ জমজমাট। প্রতিদিনই কাজ করছে হাজার হাজার শ্রমিক। এখন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে কাজ কতোদিন চলবে।

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/জসিম/জুয়েল

এই বিভাগের আরো সংবাদ