আজকের শিরোনাম :

ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তায় ফেলে রাখা বৃদ্ধ নারীর পাশে রিপোর্টার্স ইউনিটি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:১৯

রাস্তায় ফেলে রাখা বৃদ্ধ নারীর পাশে ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটি।

বুধবার দুপুরে জেলার হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা উপস্থিত হয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন। এ সময় খবর পেয়ে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিমসহ থানা পুলিশের কর্মকর্তারা। আশ^স্ত করা হয় তার বাকি জীবনের দায়ভার বহনের।

জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের মৃত কেংকর আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৭০) এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতো নারগুন গ্রামে। এর মধ্যে ছেলে আব্দুস ছালাম (২৫) ঢাকায় কাজের সন্ধ্যানে গিয়ে মারা যায়। পরে প্রতিবেশী তোফায়েল হোসেন ওই বৃদ্ধ নারীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তার বাকি জীবন দেখভালের কথা বলে বসতভিটাসহ ৬ বিঘা জমি রেস্ট্রি করে নেয়। এ বিষয়ে হরিপুর থানায় একাধিকবার গিয়েও কোন বিচার পায়নি।
 
পরে গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ওই ইউনিয়নের ঘাগড় তলা রাস্তায় পরে থাকা অসুস্থ অবস্থায় ফেলে দেয় তোফায়েলসহ কয়েকজন।

পরে পথচারিরা ভোড় রাতে তাকে দেখতে পেয়ে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। দীর্ঘ এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলে কেউ তার খবর নেয় নি। ঘটনা জেনে রিপোর্টার ইউনিটির নেতারা ছুটে গিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করলে খবর পেয়ে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পুলিশ সদস্যরা। এসময় তার বাকি জীবন দেখভাল ও জমি উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন।

ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, জমি রেজিস্ট্রি নেয়ার পর কয়েকবার থানায় গিয়ে সাহায্য চেয়েছি পুলিশ কোন সহযোগিতা করেনি। আপনারা আমার পাশে আসছেন আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনারাও ভাল তাকবেন। বাকি জীবনটা যেন আমার ভাল কাটে আপনারা ব্যবস্থা করে দেন।
 
রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা ও জেলা আলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম সুজন জানান, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ফাতেমা বেগমকে আর্থিক সহযোগীয় এগিয়ে এসেছি। আমাদের সাহায্যের কথা শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছুটে এসেছেন এবং তিনি আশ্বস্ত করেছে তার জমি উদ্ধারসহ বাকি জীবনের চলার বিষয়ে।

হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আসাদুজ্জামান জানান ফাতেমা বেগম এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। তার চিকিৎসার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি।

এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল করিম জানান, তিনি পুরোপুরী সুস্থ হলে আমরা জমি উদ্ধারের বিষয়টিসহ তার বাকি জীবন চলার বিষয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করবো।

নারীকে আর্থিক সহযোগিতার সময় রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেস্টা ও জেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম সুজন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম,  রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ লিটু, সহ সভাপতি রেজাউল করিম, অর্থ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বকুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুষ্প ও সাদেকুলসহ অনেকে।
          
এবিএন/কবিরুর ইসলাম/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ