আজকের শিরোনাম :

ভূরুঙ্গামারীতে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত : ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৩৪

উত্তর জনপদের সীমান্ত ঘেষা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শীত জেঁকে বসেছে। দিন যাচ্ছে এ জনপদে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ছে। সন্ধার পর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে এখানকার পথঘাট প্রান্তর। উত্তরের হিমালয় থেকে হিমেল হাওয়া বইছে এখানে। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় সাধারন মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে।

গত কয়েকদিন থেকে এখানে এমনি বিরূপ আবহওয়া বিরাজ করছে। ঘন কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। গোটা জন-জীবনকে করেছে বিপর্যস্ত। হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতজনিত রোগেরও প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগের রোগীদের ভীড় বেড়েছে। শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। গবাদী পশু ছাড়াও অন্যান্য প্রাণিকুল শীতের প্রকোপে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। গোটা উপজেলার ছিন্নমুকুল মানুষের রাতদিন কাটছে যুবুথুবু অবস্থায়।

উপজেলার গরীব দুঃস্থ ছিন্নমুল শ্রেনীর মানুষজন পড়েছে অবর্ণনীয় দূর্ভোগে। সচ্ছল বিত্তবানরা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ফুটপাত থেকে শীতের গরম কাপড় কিনতে পারলেও  গত বারের চেয়ে পুরাতন মোটা কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় অর্থাভাবে সহায় সম্বলহীনরা এর ধারে কাছে যেতে পারছে না।

শীতের তীব্রতা নিবারনে সরকারী কিংবা বেসরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। যার ফলে এ অঞ্চলের ছিন্নমুকুল মানুষকে একমাত্র আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতে দেখা যাচ্ছে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, শীতের এ সময় বয়স্ক ও শিশুদের জ্বর, সর্দি, কাশির প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। ভাইরাস জনিত কারনে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তিনি সবাইকে সচেতনতার পাশাপাশি ডায়রিয়া হলে ঘন ঘন খাবার স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন।  
 

এবিএন/এ এস খোকন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ