আজকের শিরোনাম :

শিবপুরে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২১:০০

নরসিংদী, ২০ আগস্ট, এবিনিউজ : নরসিংদীর শিবপুরে ১৪ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে পাঁচদিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ২০ আগস্ট (সোমবার) দুপুর ১২টার দিকে শিবপুরের নগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে অর্ধচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই স্কুল ছাত্রী শিবপুরের খড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে আজ নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মো. জুয়েল (১৮) নামের একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। সে শিবপুরের দুলালপুরের আবদুল হান্নানের ছেলে। এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা
মো. জুয়েল এবং অজ্ঞাত আরও দুজনসহ মোট তিনজনকে আসামী করে শিবপুর থানায় মামলা করেছেন।

ওই স্কুল ছাত্রী জানান, গত ১৫ আগস্ট (বুধবার) দুপুর ১২টার দিকে শিবপুর থানার উল্টোদিকের বাজারে গিয়েছিলাম দুইগজ ভয়েল কাপড় আর মুখের দাগ সারাবার ঔষধ আনার জন্য। এগুলো কেনা শেষে ফেরার পথে তিনজন মিলে হাতে টেনে সিএনজিতে তুলে নেয় আমাকে। এসময় আমার মুখ চেপে ধরে তারা। তারপর আর কিছু বলতে পারবো না। আমাকে একটি বন্ধ ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। আমাকে অনেক মেরেছে এবং ধর্ষণও করেছে। এইসময় সে তার হাত ও নাকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের চিহ্ন দেখান।

স্কু ছাত্রীর বরাত দিয়ে তার বড় ভাই জানান, বোনের দেড় বছর বয়সে আমরা মাকে হারিয়েছি। মা হারা বোনটি নিখোঁজ হওয়ার পরে থানায় একটি জিডি করেছিলাম। অথচ বড় বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন সবই জানতো। তারা আগের রাতে জেনেও আমাদের জানায় নি। সকালে বোন আমাকে ফোন দিয়েছিল কিন্তু কথা বলতে পারছিল না। আমাকে ফোন করতে দেখে তারা আমার বোনকে বেদম নির্যাতন করে। তখনই ফোন বন্ধ করে দেয়।

এসময় হুমকি দিয়ে নাকি বলেছে, তুই তোর ভাইকে ফোন দিছত, যেহেতু ফাইসাই গেছি, তোরে মাইরা ফেলমু। পরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে খুঁজতে দুপুর ১২টার দিকে নগর এলাকার বিল্লালের বাড়ি থেকে তাকে পাওয়া যায়। প্রথমে বোনকে শিবপুর উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তারা নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাদিরুল আমিন জানান, মেয়েটি অর্ধচেতন ও দুর্বল অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে। তার হাতে ও নাকে বেশকিছু খামচির দাগসহ নির্যাতনের চিহ্ন পেয়েছি। সে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে কিনা তা ডাক্তারি পরীক্ষার পর বলা যাবে। এরই মধ্যে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

শিবপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুলতানা পারভীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাঁচদিন আটক থাকার পর মেয়েটিকে ঘটনাস্থল থেকে আমরা উদ্ধার করেছি। তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের ধরতে অভিযান চলছে।

এবিএন/সুমন রায়/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ