আজকের শিরোনাম :

লক্ষ্মীপুরের কামারপাড়াগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৭:১৮

লক্ষ্মীপুর, ১৯ আগস্ট, এবিনিউজ : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ, রায়পুর, সদর, রামগতি, ককমলনগর ও চচন্দ্রগঞ্জ উপজেলার পছোট বড়ো হাট বাজারগুলোতে পশু জবাইয়ের অন্যতম উপকরণ দা, ছুরি, কাচি, চাপাতিসহ লোহার বিভিন্ন সামগ্রী তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামার শিল্পীরা। দম ফেলার ও যেন ফুরসত পাচ্ছেন না। দিন-রাত টুং টাং শব্দে মুখরিত হাট বাজারগুলো।

রামগঞ্জ বাজার, সোনাপুর বাজার, কামারহাট, দল্টাবাজার, নাগমুদবাজার, কচুয়াবাজার, পানিয়ালা বাজার, সমিতির বাজার,রায়পুরের হায়দারগঞ্জ বাজার,, মিতালী বাজার, মোল্লার হাহাট বাজার, বাসা বাড়ী,বাবুর হাট, বাজার, বাংলা ববাজার, কেরোয়া বাজার, লেংড়া বাজার, রাখালিয়া বাজার,সদরের দালাল বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার,জকসীন বাজার, মান্দারী বাজার,ভবানীগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পেশাদার কামার শিল্পীরা স্থানীয় বাজার থেকে লোহা কিনে সেগুলো আগুনে পুড়ে দা, বটি, চাকু, চাপাতিসহ লোহার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছেন। অপরদিকে লোহার তৈরী এসব সরঞ্জাম দিয়ে দোকান সাজিয়ে রাখছেন। প্রচুর পরিমান ক্রেতাও তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনছেন। কামাররা এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মৌসুমি চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারী ও বিক্রি থাকেন।

বর্তমান আধুনিক যন্ত্রের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও ঈদুল আযাহার মৌসুমে তাদের ব্যবসা বেশ জমে উঠে। তবে কামার শিল্পীরা আশংকা প্রকাশ করেন, বর্তমান সময়ে মেশিনের সাহায্যে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হওয়ার ফলে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তবা এই পেশা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশী। দা ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছুরি ছোট ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, বটি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।

সমেষপুর থেকে আসা ক্রেতা অবসর প্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মোঃ বাচ্ছু মিয়া বলেন, আমি দোকান থেকে একটি বটি ২০০টাকা, চুরি ১৭৫ টাকায় কিনেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম ৫০ থেকে ১শত টাকা বেশী।

চৌধুরী বাজারের কামার শিল্পী রতন চন্দ্র ও সুশীল  কর্মকার জানান, এক সময় তাদের যে কদর ছিল, বর্তমানে তা আর নেই। এখন হাতে তৈরীর জিনিসের কদর কমে গেছে। সারা বছর তেমন কোন কাজ না থাকলেও কোরবানি উপলক্ষে তাদের কাজের চাহিদা বেড়ে যায়। লোহার দাম বাড়ায় বিক্রিতে দাম একটু বেশী হয়।

এবিএন/আবির আকাশ/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ