আজকের শিরোনাম :

কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৪৫

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও), ১৯ আগস্ট, এবিনিউজ : কলেজের উন্নয়নের কথা বলে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আদায় করে আতœসাত করার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ডিএন কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

আদায়কৃত টাকা কলেজ ফান্ডে জমা করার জন্য কলেজের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াছিন আলীর কাছে ৫১ জন শিক্ষক-কর্মচারী লিখিত ভাবে আবেদন করার দেড় বছরেও ফান্ডে টাকা জমা করেনি ঐ অধ্যক্ষ।

এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে। তবে কলেজের অধ্যক্ষ বলছেন, অভিযোগ সত্য নয়। মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যা ডনেশন পাওয়া গেছে তা কলেজের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে।

ডিএন কলেজের ৫১ জন শিক্ষক কর্মচারী স্বাক্ষরিত আবেদন ও ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্যে অভিযোগে জানা যায় , বর্তমান প্রেক্ষাপটে বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নিমিত্তে প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের নামে মোটা অংকের অর্থের লেন দেন হয়। ডিএন কলেজও এর ব্যতিক্রম নয়।

কলেজে সমাজকল্যান, অর্থণীতি, মনোবিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজী, তথ্য ওযোগাযোগ প্রযুক্তি, কম্পিউটার, হিসাব বিজ্ঞান, ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিভাগে প্রভাষক সহ ২ দফায় ২৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সময় প্রতি জনের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে প্রায় আড়াই কোটি টাকা নেওয়া হয়।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রতি জনের কাছ থেকে আদায় করা অর্থের ৫ লাখ টাকা করে কলেজ ফান্ডে জমা করা জন্য কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়কে নির্দেশ দেন। কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষ টাকা জমা দিতে গড়িমসি করেন। এতে কলেজে ৫১ জন শিক্ষক-কর্মচারী ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাও-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যপক ইয়াসিন আলীর নিটক গন আবেদন করেন। এরপর কলেজের সভাপতি  অধ্যক্ষকে কলেজ ফান্ডে টাকা জমা করার কথা বললেও এখন পর্যন্ত টাকা জমা করা হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষক-কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্যের।

এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক সোমবার বিকালে বলেন, অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র একজন ধুরন্ধর ব্যক্তি। নিয়োগের নামে লুটপাট করেছেন। কোনো হিসাব-নিকাস নেই। এ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটিতে গোলমাল হলে ৬ মাস ধরে অধ্যক্ষর সাহেব আর কোন মিটিংই ডাকছেন না।

অভিযোগের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটি অপর সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ সত্য। তবে প্রিন্সিপাল সাহেব এর মধ্যে কিছু টাকা জমা করেছেন। সব টাকা জমা দেয়নি।

কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাও-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বলেন, এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। প্রিন্সিপালকে হিসাব-নিকাস স্বচ্ছ করার জন্য বলা হয়েছে।

কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়  বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা খুশি হয়ে যে ডনেশন দিয়েছেন তা কলেজের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে। তাছাড়া এগুলো আগের বিষয়। আগামীতে আমি নির্বাচন করতে চাচ্ছি, এজন্য এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

এবিএন/বিষ্ণুপদ রায়/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ