আজকের শিরোনাম :

লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ায় ধরা পড়ে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ২১:২৭

লক্ষ্মীপুর, ১৮ আগস্ট, এবিনিউজ : লক্ষ্মীপুর সদরের ভবানীগঞ্জের পশ্চিম মনসা গ্রামের রিফুজি মার্কেট এলাকার মোঃ খোকনের মেয়ে পারভীন আক্তার একই এলাকার দুলালের বাপের বাড়ীর আলী আকাব্বরের ছেলে সুমনের সাথে পরকীয়ার সময় হাতেনাতে তার স্বামী মোসলেহ উদ্দীনের কাছে ধরা পড়ে। এ নিয়ে অত্র এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, পশ্চিম চরমনসা গ্রামের সাকায়েত উল্লাহ মিয়া বাড়ীর সসাকায়েত উল্লাহ এর ছেলে মোসলেহ উদ্দিন এর সাথে রিফুজি মার্কেট এলাকার মোঃ খোকনের মেয়ে পারভীন প্রকাশ খুকির সাথে বিয়ে হয় আরো ৫ বছর আগে। মোসলেহ উদ্দিন ও খুকির দাম্পত্য জীবনে একটা কন্যা শিশু রয়েছে।

বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে স্বামী মোসলেহ উদ্দিনকে এড়িয়ে চলতে থাকে।সাবেক প্রেমিক সুমনের সাথে আড়ালে আবডালে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে।চতুর সুমনও বুদ্ধি করে প্রেমিকার স্বামীর সাথে বন্ধুত্ব তৈরী করে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর রাস্তা সুগম করে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো অজুহাতে সুমন মোসলেহ উদ্দিনের বাড়ীতে এসে পারভীনের  সাথে সবার দৃষ্টি ফাঁকি  সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে।

টের পেয়ে শ্বশুর সাকায়েত উল্লাহ পারভীনের বাবা খোকনককে বিষয়টি শেয়ার করে মেয়েকে সতর্ক করতে বলেন। সুৃমনকে এ বাড়ীতে আসতে নিষেধ করেন। তারপরো পারভীনের রাতবিরাতে মোবাইল ফোনে কথা বলা বন্ধ হয়নি বিধায় রাগে ক্ষোভে মোসলেহ উদ্দিন আছড়িয়ে মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন।

ঘটনার চারদিন আগে পারভীনের মা মোসলেহ উদ্দিনের বাড়ীতে এসে তিনদিন বেড়িয়ে যাওয়ার সময় মেয়েকে তার বাবার বাড়ীতে নিয়ে যান।বাবার বাড়ীতে যাওয়ার পরে সুমন সে বাড়ীতে রাতবিরাতে আসা যাওয়া করে। গত ২৭ জুলাই শুক্রবার খবর পেয়ে মোসলেহ উদ্দিন গোপনে শ্বশুর বাড়ী গিয়ে তাদের অবৈধ কাজ করতে দেখে মোসলেহ উদ্দিন সুমনকে ধাওয়া করলে সুমন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

সুমন ঘটনাটা স্থানীয় লিল্লাহ মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি বেলালের কাছে জানালে সে স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক মেম্বারকে অবগত করা হয়। তার এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার অনেকে পারভীনকে দেখতে যায়।

পরে রাগে ক্ষোভে মোসলেহ উদ্দিন কোটের মাধ্যমে পারভীনকে তালাক দিলে পারভীন উল্টো কোটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পারভীন মামলায় উল্লেখ করেন তাকে চলতি মাসের ১২তারিখে শ্বশুর বাড়ীতে তার স্বামী মোসলেহ উদ্দিন, ভাসুর মাহফুজুর রহমান, শ্বশুর সাকায়েত উল্লাহ, কোহিনুর বেগম ও ফাতেমা বেগম তাকে  নির্যাতন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে কোটে মামলা দায়ের করা হয় চলতি মাসের ১৪তারিখে।

এনিয়ে স্থানীয় জান্নাতুল ফেরদাউস, খাদিজা বেগম,রোকেয়া বেগম বলেন পারভীন তো ২৫ তারিখে বাপের বাড়ীতে গেছে বেড়াতে আর ২৭ তারিখে সুমনের সাথে অবৈধ কাজে ধরা পড়ে। ৫ তারিখে তালাক দিলে সে ১২ তারিখে সে শ্বশুর বাড়ীতে কিভাবে আসে! তাকে কিভাবে নির্যাতন করে! এগুলো সব মিথ্যা।হাতে বানানো।সে এ বাড়ীতে আসেইনি।

অহেতুক হয়রানী থেকে নিস্তার চায় নিরীহ মোসলেহ উদ্দিন ও তার পরিবার।


এবিএন/আবির আকাশ/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ