আজকের শিরোনাম :

দোয়ারাবাজারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত, বেতন ভাতাদি বন্ধ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৪৩

সুনামগঞ্জ, ১৮ আগস্ট, এবিনিউজ : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার রজনী সুগন্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোকসানা আক্তার পপি’র বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় গত দুই মাস ধরে তার বেতন ভাতাদি বন্ধ করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রসন্ন দেবনাথ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন খাত সহ বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্নসাতের লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্তে তা প্রমাণিত হলে গত জুলাই মাস হতে তার বেতন ভাতাদি বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া ওই শিক্ষিকা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষের  আদেশ উপেক্ষা করে চলতি দায়িত্বে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে নিজেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাবি করছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের জারীকৃত স্মারকপত্র অনুযায়ী পদায়িত প্রধান শিক্ষক যোগদান করতে গেলে রোকসানা আক্তার পপি দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো তার সঙ্গে অসাদাচারণ করার অভিযোগও রয়েছে। তিনি বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ রেজিষ্টার ও আর্থিক ডকুমেন্ট নিজ জিম্মায় রেখে সরকারি সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে রেখেছেন। স্কুলের উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ অর্থের হিসাব দিতেও ব্যার্থ হন।

অন্যদিকে বিদ্যালয়ের টাকা আত্নসাৎসহ সহকারী শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয় করণ করার অজুহাত দেখিয়ে প্রত্যেকের নিকট থেকে ৯০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেন। এ ঘটনায় সহকারী শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এখন উঠেপড়ে লেগেছেন রোকসানা আক্তার পপি। তিনি সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা সাজিয়ে ডিজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুলন বিবি, লিটন চন্দ্র দেবনাথ ও হালিমা বেগম জানান, রোকসানা আক্তার পপি তাদের চাকুরী জাতীয় করণের নাম করে প্রত্যেকের নিকট থেকে ৯০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। টাকা না দিলে চাকুরী জাতীয় করণ হবেনা বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেন। বিদ্যালয়ের সভাপতির লিখিত অভিযোগের পর আমরা অনিয়ম-দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেয়ায় এখন তিনি আমাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন। তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় বাহির হতে আসা শিক্ষকদের নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখান।

নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস শহিদ বলেন, গত ২৬ জুন বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গেলে রোকসানা আক্তার পপি তার হেফাজতে থাকা রেজিষ্টার, নথিপত্র ও হাজিরা খাতা তালাবদ্ধ করে রাখেন এবং আমাকে যোগদানে বাধা দেন। নানা ভাবে তিনি আমার সঙ্গে অসাদারচারণ করেন।

স্থানীয় দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু মিয়া বলেন, রোকসানা আক্তার পপি স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় তিনি প্রভাব খাটিয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ আত্নসাত করেছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী এমনকি অভিভাবকরা তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেছেন। এসবের সত্যতা জানতে রোকসানা আক্তার পপি’র কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, আমি প্রধান শিক্ষক। এব্যাপারে আদালতে রিট করা আছে। অন্যান্য অভিযোগ গুলো সত্য নয় বলেও জানান তিনি।

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ