আজকের শিরোনাম :

ধুনটে ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আসামী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৩২

ধুনট (বগুড়া), ১৮ আগস্ট, এবিনিউজ : বগুড়ার ধুনটে আল হেলাল (৪০) নামের এক ধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টের আসামীকে গ্রেফতারের পর থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নির্যাতিত পরিবার সহ সাধারন মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়েছে।

জানাগেছে, ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আল হেলাল পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ৪ জুন শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমকুন্দ গ্রামের জনৈক এক শ্রমিকের বাড়ীতে যায়। ওই দিন ওই শ্রমিক দম্পত্তি বাড়ীতে না থাকায় তার তরুনী মেয়েকে বাড়ীতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আল হেলাল। এসময় ওই তরুণীর চিৎকারে প্রতিবেশিরা ধর্ষক আল হেলালকে আটক করে। 

ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী জানান, এঘটনায় সেই সময় শেরপুর থানায় মামলা দিতে গেলে তৎকালীন ওসি খান মো. এরফান মামলাটি আমলে না নিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেয় এবং পুলিশের সহযোগিতায় একটি প্রভাবশালী মহল জনতার হাতে আটককৃত ধর্ষক হেলালকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এঘটনায় নিরুপায় হয়ে ওই তরুণী ২০১৭ সালের ৭ জুন বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা (মামলা নং-১০৯/১৭) দায়ের করে। ওই মামলায় আদালত আল হেলালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।


এদিকে শেরপুর থানার ওসি খান মো. এরফান গত ৬ মাস আগে শেরপুর থেকে বদলী হয়ে ধুনট থানায় যোগদান করেন। গতকাল (১৭ আগস্ট) শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধুনট থানার ওসি খান মো. এরফান মথুরাপুর বাজার এলাকা থেকে আল হেলালকে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ারামূলে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে থানা হাজত থেকে আল হেলালকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী ওই তরুণী ও পরিবারের অভিযোগ, ধুনট থানার ওসি মোটা অংঙ্কের ঘুষ নিয়ে ধর্ষক হেলালকে থানা হাজত থেকে ছেড়ে দিয়েছে।   

তবে ধুনট থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. এরফান ঘুষ নেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানায় আল হেলালের গ্রামের নাম পীরহাটির পরিবর্তে শ্যামগাতি লেখা রয়েছে। গ্রামের নাম ভুলের কারনে তাকে গ্রেফতারের পর থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 


এবিএন/ইমরান হোসেন ইমন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ