আজকের শিরোনাম :

মাদারীপুরে দশম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ২১:৪৩

মাদারীপুর, ১৬ আগস্ট, এবিনিউজ : মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর হোসেনের নির্যাতনে ও অপমান সইতে না পেরে বিষ পান করে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।

সাথীর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও স্কুলের সহপাঠিরা প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে।

নিহত সাথী সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের পাতিলাদি গ্রামের মৃত ইকবাল বেপারীর মেয়ে। সাথীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক নুর হোসেন পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী সাথী আক্তার (১৩) বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে পেয়ারপুর এলাকায় নানা বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতো।

গত শনিবার সকলে বিদ্যালয়ে আসার পর টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষকের কাছে অন্য এক ছাত্রী তাকে গালি দিয়েছে বলে বিচার দিলে, প্রধান শিক্ষক দু’জনকেই ডেকে এনে সবার সামনে শাসন করে এবং স্কেল দিয়ে মারধর করে। এতে সাথী খুব অপমান বোধ করে, অপমান সইতে না পেরে  স্থানীয় এক দোকান থেকে ঘাস মারার একটি ঔষধ কিনে বাড়ি নিয়ে সন্ধ্যায় পান করে।

ঔষধ খাওয়ার পর সাথীর মামি দেখে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। এ সময় সাথীর মামি কি হয়েছে জানতে চাইলে সে জানায় স্যার তাকে স্কুলে সবার সামনে স্পর্শ কাতর ভাষায় আপত্তিকর স্থান উল্লেক করে গালিগালাজ দিয়েছে ও অনেক মারধর করেছে। তাই সে লজ্জায় ঘাস মারার ঔষধ খেয়েছে।

চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালায় প্রধান শিক্ষক মো. নুর হোসেন বলেন, ঐ ছাত্রী মারা যাওয়ার পূর্বে সাংবাদিকদের জানিয়েছিল সাথী ও আর এক ছাত্রী গালাগালি করায়, আমি তাদের দুইজনকেই ডেকে এনে সবার সামনেই শাসন করে ক্লাসে পাঠিয়ে দিই। আর এই ঘটনা দুপুরে হয়েছে। সামান্য এ ঘটনায় সাথী যে ঔষুধ খাবে তা ভাবতে পারিনি। আমি তার চিকিৎসার সকল দায়ভার নিয়েছি। তবে সাথী নিহত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, নিহত ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ও স্কুলের সহপাঠিরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা প্রকৃত অপরাধীকে আটক করার আশ্বাস দিয়েছে। তাছাড়া নিহত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করে নাই।

এবিএন/সাব্বির হোসাইন আজিজ/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ