আজকের শিরোনাম :

গোবিন্দগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ভুয়া সনদে ৮ জনের সরকারি চাকরি লাভ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৫৭

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়া সাতজনের খোঁজ পেয়েছে প্রশাসন।

গত ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাররে দাখিল করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্তে সত্যতা পেয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসকের ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখের ০৫.৫৫.০২০০.০২২.৩৮.০০২.১৮.১৬০১ নম্বর স্বারক মূলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন গত ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখের ৯৯৪ স্মারকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে চাকুরীকরণ প্রসঙ্গে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারীর আবেদনে উল্লেখিত সাত জন সহকারী শিক্ষক ও গাজীপুরে অবস্থিত কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের একজন সহকারী উপ-পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরীর বিষয়টি স্বীকার করেন।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় দাখিলকৃত কাগজপত্রে লাল মুক্তি বার্তা ও গেজেটে তাদের নাম নেই এবং তারা মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে কোন মূল কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুখানদিঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিরত  রাফিয়া মোর্শেদা,সাতাইল-বাতাইল বিদ্যালয়ের কবিতা খাতুন, নিয়ামতের বাইগুনি বিদ্যালয়ের, মুন্নী খাতুন, ২ নম্বর ধানখনিয়া বিদ্যালয়ের, নুরুন্নাহর, গাড়ামাড়া বিদ্যালয়ের, গুলবাহার, বামনহাজরা বিদ্যালয়ের  সুলতানা পারভীন। গাজীপুরে অবস্থিত কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহকারী উপ-পরিচালক নূরে হাবীবা।

অপরদিকে দামগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক,  আম্বিয়া খাতুন। তিনি মুক্তিযোদ্ধার নাতনি কোটায় চাকরি পেয়েছেন।  

প্রকৃতপক্ষে তার আপন নানা মুক্তিযোদ্ধা নন। নানার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং তার নাতনি হিসেবে তিনি চাকরি পেয়েছেন।

এবিএন/তাজুল ইসলাম/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ