আজকের শিরোনাম :

বেনাপোলে বাণিজ্য সহজীকরণে কাস্টমস-বিজিবি-বন্দর যৌথ এন্ট্রি শাখার উদ্বোধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১১:৪৯

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সহজীকরনে কাস্টমস, বিজিবি ও বন্দরের যৌথ এন্ট্রি শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।মঙ্গলবার বেলা ১২টার সময় বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মোঃ আজিজুর রহমান এন্ট্রি শাখার শুভ উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে কমিশনার মো. আজিজুর রহমান আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন,  আগে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সময় একই তথ্য, পণ্য প্রবেশদ্বারে বাংলাদেশ কাস্টমস, বিজিবি ও বন্দরের কাছে তিন বার এন্ট্রি করতে হতো। এতে দ্রুত বাণিজ্য সম্প্রসারনে যেমন বাধাগ্রস্থ হতো তেমনি রাজস্ব আদায়েও বাধাগ্রস্থ হতো। বিষয়টি নিয়ে তিনসংস্থার সাথে আলোচনা করে বাণিজ্য সহজিকরনে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন যৌথ এন্ট্রি শাখার উদ্বোধনে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য যেমন গতি বাড়বে তেমনি রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, আগে তিন জায়গায় তথ্য এন্ট্রির কারনে সময়ক্ষেপনে বাণিজ্যে ধীরগতি নেমেছিল। প্রতিদিন যেখানে ৫শ ট্রাক আমদানি হওয়ার কথা সেখানে ৩শ ট্রাক প্রবেশ করতো। তিনটি  শাখার সমন্বয়ে এন্ট্রি শাখার উদ্বোধন বাণিজ্যক ক্ষেত্রে নতুন  দিগন্তের উন্মোচন হবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আশরাফ জানান, উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে যৌথ ভাবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে আমদানি-রফতানিতে স্বচ্ছতা ও গতিশীল বৃদ্ধি বাড়বে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমসের কাছে আমরা যৌথ ভাবে তথ্য এন্ট্রির আবেদন জানিয়ে আসছিলাম। দেরিতে হলেও এ ধরনের উদ্যোগ বাণিজ্য ত্বরান্বিত হতে বড় ভুমিকা রাখবে।

ইন্দো বাংলা চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বাংলাদেশ অংশে  তিনটি সংস্থার সমন্বয়হীনতার কারনে ভেগান্তিহচ্ছিল ব্যবসায়ীদের। এখন এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেল ব্যবসায়ীরা। এমন উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম, উপ-কমিশনার শামীমুর রহমান,উপ কমিশনার অনুপম চাকমা, বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল, সহকারী পরিচালনা (ট্রাফিক) আতিকুর রহমান, বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমানসহ কাস্টমস বন্দর ও ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভারতে রফতানি হেেয় থাকে। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে।

এবিএন/মো. আইয়ুব হোসেন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ